নিউজ পোল ব্যুরো : গত কয়েক মাস ধরেই বারাক ওবামার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী মিশেলের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে। সেই গুঞ্জন ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। সূত্রের খবর, হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার এনিস্টোনের সঙ্গে নাকি চুটিয়ে প্রেম করছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এই পরকীয়ার জেরেই চিড় ধরতে চলেছে ওবামা-মিশেলের দীর্ঘ দাম্পত্যে। কিন্তু এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী জেনিফার। কিন্তু নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, ওবামা ও জেনিফারকে অনেক জায়গায় একসঙ্গে দেখা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায় তাঁরা সম্পর্কে রয়েছেন।
এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মিশেল ও বারাক ওবামার সম্পর্ক খুব একটা ভালো নেই। তাঁরা বেশ কয়েক মাস ধরে আলাদাও রয়েছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁদের বিচ্ছেদের খবর নিয়ে দানা বাঁধতে থাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে। গত বছরে জেনিফারের একটি সাক্ষাৎকার সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বারাকের সঙ্গে আমার নাম জড়ানোর খবর শুনে প্রথমে আমি খুব অবাক হয়ে গেছিলাম, কিন্তু পরে খুব হেসেছি এই বিষয়টি নিয়ে।এটা ট্যাবলবেবের স্টোরি ছাড়া আর কিছুই নয়।’ ওই ক্লিপে জেনিফারকে আরো বলতে শোনা যায়, ‘আমার সঙ্গে ওবামার একবার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সময়টি ছিল ২০০৭ সাল। সেই বছর হলিউড গালা নিয়ে ওঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। বারাকের চেয়ে আমি ওঁর স্ত্রী মিশেলকে আরো ভালোভাবে চিনি।’ ওবামার সঙ্গে জেনিফারের পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে জেনিফার মুখ খুললেও বারাক বা মিশেল কেউই এই বিষয় নিয়ে মুখ খোলেননি।
তবে নেটাগরিকদের দাবি, ওবামার সঙ্গে জেনিফারের সম্পর্ক নিছক বন্ধুত্বের মধ্যে আবদ্ধ নেই, তাঁরা সম্পর্কে রয়েছেন। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে বারাক ওবামা উপস্থিত থাকলেও, অনুপস্থিত ছিলেন মিশেল। এর আগে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্যে গিয়েছিলেন ওবামা, কিন্তু সেখানে দেখা যায়নি মিশেলকে। প্রকাশ্যে ওবামার সঙ্গে মিশেলের অনুপস্থিতিকে ঘিরে গুঞ্জন আরো জোরালো হতে থাকে। আগামীদিনে তাঁদের সম্পর্ক ঠিক কোন দিকে যাব সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, বারাক ওবামা একজন আমেরিকান রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবী যিনি ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য, বারাক ওবামা ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি। বারাক ওবামা এর আগে ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইলিনয় থেকে মার্কিন সিনেটর এবং ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ইলিনয় রাজ্যের সিনেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
