আউটডোর চিকিৎসায় বিমা কভারেজ?

দেশ স্বাস্থ্য

নিউজ পোল ব্যুরো : বর্তমানে চিকিৎসা খরচ অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিশেষত, হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে শুধুমাত্র আউটডোরে (ওপিডি) চিকিৎসা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ প্রায়ই খরচের মধ্যে বিপদে পড়েন। ডাক্তার দেখানোর জন্য ক্লিনিক বা প্রাইভেট হাসপাতালের আউটডোরে (ওপিডি) যাওয়ার পর অনেকেই চিকিৎসা বাবদ অস্বাভাবিক পরিমাণ খরচ করতে বাধ্য হন। এর প্রেক্ষিতে, সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় সুসংবাদ আসতে পারে বাজেট ২০২৫-এ।

বর্তমানে বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিমা নীতির আওতায় শুধুমাত্র ইনডোর (ভর্তি) চিকিৎসার খরচই দেওয়া হয়, তবে আউটডোর চিকিৎসা বা ওপিডি খরচ দেওয়া হয় না। ফলে, ডাক্তার দেখাতে গেলে, কিংবা কিছু নিয়মিত চেকআপ বা চিকিৎসা নিতে গেলে, সেই খরচ অনেকের পক্ষে বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষত, যাঁদের নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজন, তাঁরা প্রতি মাসে ছোট বড় খরচে ভারি হয়ে পড়েন।

তবে সরকারের তরফ থেকে শোনা যাচ্ছে, আগামী বাজেটে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য বিমা নীতিতে আউটডোর (ওপিডি) চিকিৎসা কভারেজ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব থাকতে পারে। অর্থাৎ, একদিকে যেমন সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার সুযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ রয়েছে, তেমনি বেসরকারি খাতে খরচ কমানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা হতে পারে। যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তবে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা খরচ অনেকটাই কমে আসবে, এবং এই নতুন সুযোগের ফলে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আউটডোর চিকিৎসাও কভার করা যাবে।

এই উদ্যোগের পিছনে সরকারের মূল লক্ষ্য হল চিকিৎসা ব্যবস্থার আওতা বাড়ানো এবং নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও সুলভ করা। বহু মানুষ আছেন যারা গুরুতর অসুস্থ না হলেও, নিয়মিত চিকিৎসা ও চেকআপের জন্য বিপুল খরচে পড়েন। তাদের জন্য এটি একটি বড় আর্থিক সহায়তা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি এই প্রস্তাব বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়, তবে স্বাস্থ্য বিমার কভারেজের দিক থেকে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতালেই ভর্তি না হয়ে শুধুমাত্র আউটডোরে চিকিৎসা নেওয়া মানুষের জন্য বিমার এই কভারেজ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাজেট ঘোষণার পর। সবার চোখ এখন ২০২৫ সালের বাজেটের দিকে, যেখানে আউটডোর চিকিৎসার বিমা কভারেজ নিয়ে নতুন দিশা দেখানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং ২০২৫এ বাজেটে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে প্রত্যাশাগুলি উঠে আছে তাহল —–
১) মেডিসিন রিসার্চ ও উন্নয়ন
২) স্বাস্থ্যবিমার কভারেজ বৃদ্ধি
৩) মেডিক্যাল ডিভাইসে জিএসটি কমানো
৪) রোবোটিক্স-অ্যাডভান্স ডায়াগনস্টিক বাড়ানো
৫) প্যান্ডেমিক প্রস্তুতি