নিউজ পোল ব্যুরো: কথিত আছে চুরির চেয়ে ভিক্ষা শ্রেয়! পেটের দায়ে প্রতিদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন কত শত ক্ষুধার্থ। হাত পেতেই দিন চালাতে হয় অভাগাদের। তবে সেই পেটের দায় মেটাতে গিয়েই যদি হতে হয় গ্রেফতার! ভাবুন তো ঠিক কতটা অসহায় হয়ে ওঠে, সেই অভাগা। কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন? ভিক্ষা তো অপরাধ নয় তবে কেন গ্রেফতারি।
সম্প্রতি রাস্তায় ভিক্ষা করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে এক ভিক্ষুককে। তবে তার নিহাতই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করার জন্য নয়। ট্র্যাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করার অপরাধে ভোপালে গ্রেফতার করা হয় এক যুবককে। শুধু তাই নয় এমনকি এ বিষয়ে করা নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক জাম রুখতে প্রয়োজন মতো নতুন নতুন পদক্ষেপ নিতে থাকে প্রশাসন। প্রয়োজন মতো বদলাতে থাকে নিয়ম। ১৯৭৩ সাল থেকে ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধ আইন চালু হয় মধ্যপ্রদেশে, তবে তারপর থেকে প্রয়োগ করা হয়নি একটি বারের জন্যও। এই প্রথম তা প্রয়োগ করা হল।
সম্প্রতি এই আইনের জন্যই এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে ভিক্ষার অপরাধে। এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় যুবককে। এ বিষয়ে ডেপুটি কমিশনার বলেন, ‘অনেক সময় অভিযোগ আসে, এমন কেউ কেউ সিগন্যালে দাঁড়ানো গাড়ির সামনে হাত পাতছেন, যাঁদের দেখে ভিক্ষুক বলে মনে হয় না।’ কাজেই সম্প্রতি ট্রাফিক জাম মোকাবিলায় এই ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে পুলিশ।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সঞ্জয় আগরওয়ালের কথায় এমপি নগর থানায় একটি অভিযোগ জানান এক ব্যক্তি। ভোপালের বোর্ড অফিস সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি থেকে ভিক্ষা চেয়ে বেড়ান এক ভিক্ষুক এমনটাই জানান তিনি। এর পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন ভিক্ষুকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে অবশ্য ভিক্ষুককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অসহায়তার কথা উল্লেখ করেন। ভিক্ষুকের কথায় বর্তমানে অন্য কোনোও পেশা নয় শুধুমাত্র ভিক্ষা করেই বেঁচে রয়েছেন তিনি। উপার্জনের অন্য কোনও উপায় জানেন না তিনি। অভিযোগ করার পরেই মধ্যপ্রদেশ ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধ আইনের অধীনে মামলা রুজু করে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।