নিজস্ব প্রতিনিধি:- দুয়ারে বসন্ত,মানে বসন্ত একেবারেই দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে,কদিন পরেই আমাদের সকলের মধ্যে বিরাজ করবে তার নিজের মতো করে। আর এমন সময় নদীয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ঘটলো এমন এক ঘটনা, যা দেখে নেটিজেনদের চোখ উঠেছে কপালে ! প্রযুক্তি শিক্ষার নাম করে ক্লাসরুমেই রীতিমতো বিয়ের আসর বসিয়ে ফেললেন বিভাগীয় প্রধান ও প্রথম বর্ষের ছাত্র। এমন এক প্রজেক্ট তৈরী হয়েছে যা দেখে অনেকেই ভাবছেন – পড়াশোনা করতে এসে যদি বিয়ে হয়ে যায়, তবে ডিগ্রীর কী দরকার ? ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি ক্লাসরুমে ব’সে বিয়ের আসর। ক্লাসরুমের পোডিয়ামে শিক্ষিকা ও ছাত্র একসঙ্গে দাঁড়িয়ে, সাক্ষীদের সামনে একে অপরকে স্বামী – স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করছে ! মালাবদল সিঁদূরদান সবই হয়েছে নিয়ম মেনে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার পাশাপাশি এখন কি তবে বিয়ের ট্রেনিংও শুরু হল ?
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের হাতে এই ভিডিও পৌঁছাতেই শোরগোল পরে যায়। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। আর এরপরই বিভাগীয় প্রধান শিক্ষিকাকে তৎক্ষণাৎ ছুটিতে পাঠানো হয়। তবে শিক্ষিকার দাবি – এটা নাকি প্রজেক্টের অংশ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে – কোন প্রজেক্টে এমন বিয়ের আসর বসে ? শুভদৃষ্টি, মালাবদল, সিঁদুরদান সবকিছুই হয় নিয়ম মেনে ? প্রযুক্তির শিক্ষার সঙ্গে এ কেমন এবং কোন ধরণের গবেষণা? প্রশ্ন উঠছে ছাত্র ছাত্রীদের প্রযুক্তি শেখানোর জন্য বিয়ে করানোর কী দরকার ? ক্লাসরুমে প্রজেক্টের নামে এমন অভিনব ‘বিয়ের আয়োজন’ দেখে ছাত্রদের নতুন চিন্তার উদয় হয়েছে – পরীক্ষায় ফেল করলে এবার হয়তো ডিভোর্সের প্রজেক্টও শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয় এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তবে ক্যাম্পাস জুড়ে এখন একটাই আলোচনা – প্রজেক্ট করলেই কি বিয়ে হয়ে যাবে ? যদি তাই হয়, তবে পরের ব্যাচের ছাত্ররা নিশ্চয়ই এখন থেকেই প্রজেক্ট করতে উৎসাহিত হবে।
এই ঘটনার পর অনেকেই মজা করে বলছেন, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে হয়তো ‘বিয়ে ও দাম্পত্য জীবন’ নামক নতুন কোর্স চালু করা হবে। সেমিস্টারের শেষে হয়তো কেউ নববধূ, কেউ বর, আর কেউ হয়তো এক্স হয়ে বেরোবে ! ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে, বসন্ত আগত তাই ক্যাম্পাসের আকাশে এখন বইছে প্রেমের বাতাস ! তবে এটা প্রযুক্তির উন্নতি নাকি শিক্ষার নতুন চরম পরীক্ষা – তা সময়েই বলবে শেষ কথা।