নিউজ পোল ব্যুরো:- মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালদহের বৈষ্ণবনগরে এক মদের আসরে শুটআউটের ঘটনায় প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম প্রদীপ কর্মকার। গুরতর আহত অবস্থায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও এক যুবক নিরঞ্জন দাস, যিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বৈষ্ণবনগরের বীরনগর বাজার সংলগ্ন রাধানাথতলায় একটি বাড়িতে বেআইনি মদের ঠেক চলছিল। আহত নিরঞ্জন নিজেই ওই বাড়িতে মদ বিক্রী করতেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও সেখানে মদের আসর বসে। কিন্তু হটাৎই বচসার জেরে চলে গুলি। গুলিবিদ্ধ হন নিরঞ্জন ও প্রদীপ। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে, ধারে মদ না দেওয়াকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় বচসা, যা পরে ভয়ঙ্কর আকার নেয়। অভিযোগ, নিমাই ও বাপি ঘোষ নাম দুই ব্যক্তি, যাঁরা নিরঞ্জনের ‘কাস্টমার’ ছিলেন, তাঁরাই গুলি চালান। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “নিরঞ্জন ধারে মদ দিতে রাজি হননি, সেই কারণেই নিমাই ও বাপি ঘোষ উত্তেজিত হয়ে গুলি চালায়।”
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ, তবে অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এই ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কীভাবে এল এত অস্ত্রশস্ত্র ? একটি বাড়িতে বেআইনি মদের ঠেক চলছিল, অথচ পুলিশ তা জানতে পারল না কেন? প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, বেআইনি মদের আসর ও অস্ত্র সরবরাহের উৎস খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীর দল।
