আবাস যোজনার টাকা তছরুপের অভিযোগ অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে

অপরাধ জেলা রাজনীতি রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, বসিরহাট : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার গোপালপুর ২ নম্বর অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের বাগবুল মুন্সির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এলাকায় পোস্টার পড়ে। গামবিলতলা ফেরিঘাট, খাটরা আমতা বাজার, সোনাকোপা, ভবানীপুর, ভুবনপুর, জগৎপুর, পুকুরিয়া, গোপালপুর বটতলা সহ মোট আট থেকে নয়টি জায়গায় আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারে লেখা হয়েছে, আবাস যোজনার টাকা দুর্নীতি হয়েছে, পাশাপাশি এলাকায় তোলাবাজি করা হচ্ছে। পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে ‘তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ’। এতে হাড়োয়া ব্লকের গোপালপুর ২ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বাগবুল মুন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে বাগবুল মুন্সি পাল্টা অভিযোগ করেছেন যে, তিনি ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণেই তাঁকে কালিমালিপ্ত করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

বাগবুল মুন্সির দাবি, ‘আমি ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলাম। কারণ, তাঁর আত্মীয় মেছো ঘর প্রকল্প সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা তছরুপ করেছে। সেই দুর্নীতির বিষয়ে আমার কাছে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে এবং আমি তা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এটাই আমার অপরাধ হয়ে গিয়েছে। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এই ধরনের চক্রান্ত করা হয়েছে।’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কৌশিক দত্ত বলেন, ‘বাগবুল মুন্সির বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বিরোধীরা যেভাবে দলের অভ্যন্তরীন বিষয়কে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

অন্যদিকে, বিজেপি নেতা পলাশ সরকার বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি এখন প্রকাশ্যে আসছে। যাঁরা সৎ, তাঁদের দমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মানুষ এসব দুর্নীতি ভালোভাবে দেখছে, উপযুক্ত সময়ে এর জবাব দেবেন তাঁরা।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম চলছে। অনেকে বাড়ি তৈরীর টাকা পাননি, আবার কেউ কেউ টাকা পেলেও পুরো টাকাটা তাঁরা পাননি ফলে কাজ শেষ হয়নি। এর প্রতিবাদেই এই পোস্টার পড়েছে। তবে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নিজেকে নির্দোষ দাবি করায় এই ঘটনা আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা দেখার বিষয়। তবে রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।