নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতার বুকে ইএম বাইপাসের ওপর ভয়াবহ আতঙ্ক। বৃহস্পতিবার রাতে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে আক্রান্ত তরুণীর মৃত্যু Murder হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে। গ্রেফতার নাবালক সহ তিন অভিযুক্ত। বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের জেরেই তরুণীকে খুন Murder করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
আরও পড়ুন: https://thenewspole.com/2025/03/26/sajna-danta-recipes-bengali/
সূত্রের খবর, এই খুনের মূল কারণ পরকীয়া সম্পর্ক। রাফিয়ার সঙ্গে ফারুকের বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক ছিল, যা ফারুকের স্ত্রী শাহজাদি জানতে পারেন। এর পরেই তিনি তাঁর ১৬ বছর বয়সী ছেলে এবং ওয়াসিম আক্রম নামের যুবককে সঙ্গে নিয়ে রফিয়াকে খুন করার পরিকল্পনা করেন।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/p/14ntxvWaWn/
সে মতোই তাঁরা দুজন বৃহস্পতিবার রাতে ইএম বাইপাস সংলগ্ন মেট্রোপলিটনে গাড়ি থেকে নামতেই তরুণীকে প্রথমে মারধর, তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে পরপর কোপ মারা হয়। চোখের সামনে প্রত্যক্ষদর্শীরা এই দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন।
নিউজ পোল ইউটিউব লিংক: https://youtu.be/P29UjdiL1dw?si=X9tLLJp6AZAGoS8I
তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় নাবালকই। গলাতেও কোপ মারা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রমণের সময়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রাণভয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তরুণী। কিন্তু তাঁকে ধরে ফেলেন নাবালতেক তুতো ভাই। পিছন থেকে তিনি তরুণীকে ধরে রেখেছিলেন। সেই সময়ে তাঁর শরীরে একাধিক বার কোপ মারে ওই নাবালক।
রফিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু সেখানেই তরুণীর মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহজাদি এবং তাঁর ছেলে ওয়াসিমকে গ্রেফতার করে, তবে এখনো খোঁজ মেলেনি ফারুকের। পুলিশ তার ফোনের শেষ যেখানে ছিলেন সেটি ট্র্যাক করার চেষ্টা করছে এবং তার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে।
গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রফিয়ার ‘প্রেমিক’। ফলে গাড়ি সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও নখদর্পণে ছিল। জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে বাবার গাড়িকে অনুসরণ করতে তাই অসুবিধা হয়নি নাবালকের। বাবার পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতেই সে তরুণীকে খুন করে, অনুমান পুলিশের। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন তার মা এবং দাদা। তারা তরুণীকে আক্রমণ করলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ফারুক।