Death certificate: ময়নাতদন্ত না করেই কেন আসছে দেহ?

আন্তর্জাতিক দেশ

নিউজ পোল ব্যুরোঃ একে একে ফিরছে দেহ কিন্তু সার্টিফিকেট Death certificate নেই কেন? কেন মহাকুম্ভ থেকে দেহ ফিরলেও দেওয়া হচ্ছে না সার্টিফিকেট Death certificate তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মৃতদের পরিবার। পাশাপাশি একই বিষয়ের উপর প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্বদের। কিন্তু কেন? ঠিক কোন কারণে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না মৃতদেহদের সার্টিফিকেট তা নিয়ে ক্রমশই বাড়ছে উত্তেজনা।

সম্প্রতি প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় দর্শনার্থীদের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটনায় শোকাহত গোটা দেশ। কিন্তু বর্তমানে শোকের পাশাপাশি এই ঘটনায় চিন্তার ছাপ পড়ছে নানান কারণে। আপনজনদের হারানো পরিবার কি করে পাবেন সরকারি সুযোগ-সুবিধা? কি করেই বা মৃত্যুর সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব হবে তাদের? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

মৃতদের দেহের ময়নাতদন্ত না করে বা যথাযথ ডেথ সার্টিফিকেট না দিয়ে পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, বলে অভিযোগ ওঠায় উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ বিষয়টিকে দেখছেন। প্রসঙ্গত মহাকুম্ভে মৃতদের ডেথ সার্টিফিকেটের বদলে দেওয়া হচ্ছে চিরকুট। কিন্তু তাতেও নিশ্চয়তা নেই! কারণ সেই চিরকুটে স্বাক্ষর নেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের কারোর। অর্থাৎ সেই চিরকুট নকল করা খুবই সহজ। সেখানে শুধুমাত্র মৃতের নাম–ঠিকানা আর মৃতদেহ সংগ্রহকারীর পরিজনের নাম ও স্বাক্ষর লিখে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে আবার চিরকুট–সহ দেহ নিয়ে আসার পর দাহ করার সময় ডেথ সার্টিফিকেট না থাকায় তৈরি হচ্ছে আইনি জটিলতা। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলার কথা বলেন মুখ্য সচিবকে।

রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে মহাকুম্ভীর টানে গিয়েছিলেন অনেকেই। যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মালদার স্কুল শিক্ষকের। পাশাপাশি মৃত্যু খবর মিলেছে কলকাতার বাসিন্দারাও, এখনও মৃত্যুর খবর বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না আরও অনেকের। এ বিষয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ সরকারের আচরণ অমানবিক। ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়া গেলে মৃতের পরিজন কোনও ভাবেই মৃতের সম্পত্তির উত্তরাধিকারও দাবি করতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ মানবিকতার সঙ্গে বিচার করেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে’। যদিও বা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খুলতে শোনো যায়নি দেশের বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের। শুধুমাত্র শোক প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে অনেককেই, ঘটনার দিনেই শোক প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও।