নিউজ পোল ব্যুরো: শনিবার মোদী সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ তাঁর অষ্টম বাজেট পেশ করেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের এটি টানা অষ্টম বাজেট। এবারেও ঐতিহ্যবাহী দফতরি স্টাইলের লাল ব্যাগে মোড়ানো ডিজিটাল ট্যাবলেটের মাধ্যমেই বাজেট পেশ করেন তিনি।
এদিন বাজেট প্রস্তাব পেশ করার শুরুতেই ‘প্রধানমন্ত্রী ধন ধান্য কৃষি যোজনা’র কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর আওতায় আসবে এমন ১০০টি জেলা, যেখানে উৎপাদনের হার কম। এই রাজ্যগুলির সঙ্গে পিএম ধন-ধান্য প্রকল্প চালানো হবে। এর ফলে উপকৃত হবেন ১.৭ কোটি কৃষক।
অর্থমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, গ্রামীণ এলাকায় সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির সঙ্গে যৌথভাবে একটি নীতি তৈরি করবে কেন্দ্র। বাজেটে কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ধন ধান্য যোজনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হল, গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান বাড়ানো।
অর্থমন্ত্রী এদিন তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, বিহারে মাখানা বোর্ড গঠন করা হবে। এই বোর্ডটি উৎপাদন, বিপণন এবং কৃষকদের সহায়তায় কাজ করবে। পিছিয়ে পড়া ১০০টি জেলা প্রধানমন্ত্রী ধন ধান্য যোজনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। অর্থমন্ত্রী জানান, ১০০টি জেলাকে এই যোজনার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর বাইরে ডাল আমদানি কমিয়ে এই খাতে দেশকে স্বাবলম্বী করার কথাও বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘কৃষকদের জন্য ইউরিয়া কারখানা স্থাপন করা হবে। অসমের নামরুপে চালু হবে এই ইউরিয়া কারখানা। কৃষকদের জন্য করা এই ঘোষণায় ১.৭ কোটি কৃষক উপকৃত হবেন।’ প্রধানমন্ত্রী কৃষি যোজনার অধীনে, সরকার রাজ্যগুলির অংশীদারিত্বের সঙ্গে কৃষি জেলা কর্মসূচি চালু করা হলে এতে কম উৎপাদনশীল ১০০টি জেলায় ফসল বৈচিত্র্য, টেকসই চাষাবাদ পদ্ধতি, পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরে ফসল-পরবর্তী সঞ্চয়স্থান বাড়ানোর মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করাই সরকারের লক্ষ্য।
এর পাশাপাশি, অড়হর, বিউলি, মসুর ডালের জন্য ৬ বছরের বিশেষ লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য হল, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি ৪ বছর ধরে অড়হর, কলাই এবং মসুর ডাল কিনবে। এমনকি শাকসবজি ও ফলের উৎপাদন বাড়াতেও রাজ্যগুলির সঙ্গে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
