বিশ্বজয়ের পর অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দলকে বিসিসিআইয়ের আর্থিক সম্মান

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দেশ

নিউজ পোল স্পোর্টস ব্যুরো :- দাপুটে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বিশ্বকাপ জয় করে ইতিহাস গড়ল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেট দল। তাও একবার নয়, দুবার। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর গোটা দেশ জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে। বিসিসিআই দারুন পারফরমেন্সের জন্য গোটা দলের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে। বর্ডার তরফ থেকে জানানো হয়, ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেট দলকে ৫ কোটি টাকা তুলে দেবে। বিশ্বজয়ী ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিশ্বকাপ জয়ী দলের জন্য ৫ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। বোর্ডের সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন, ‘এই অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দলের প্রত্যেকটি সদস্যরা আমাদের দেশের গর্ব। তাঁরা কঠোর পরিশ্রম করে এই সাফল্য পেয়েছে। তাঁদের জন্য এই পুরস্কার এক ছোট্ট স্বীকৃতি মাত্র। ভবিষ্যতে তাঁরা আরও এগিয়ে যাক, সেটাই আমাদের চাওয়া।’ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় মহিলা দল প্রতিপক্ষকে একপেশে ম্যাচে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফাইনালে ভারতীয় দল দুর্দান্ত বোলিং এবং ব্যাটিং প্রদর্শন করে সহজেই জয় ছিনিয়ে নেয়। তাঁদের ফিল্ডিং ও টিম স্পিরিটও ছিল নজরকাড়া।

বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছেন, ‘এই জয় ভারতীয় ক্রীড়াজগতের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমাদের মেয়েরা প্রমাণ করল, তাঁরা বিশ্বসেরা হওয়ার যোগ্য। আমাদের ভারতের দেশের গর্ব তাঁরা।’ এই জয়কে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। সোশাল মিডিয়ায় ক্রিকেট ভক্ত থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটার, সেলিব্রিটিরা মেয়েদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। বিসিসিআইয়ের এই পুরস্কার ভবিষ্যতে তরুণী ক্রিকেটারদের আরও অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করছেন ক্রীড়াবিদরা। ২০২৩ সালে প্রথমবার মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। সেখানেও চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সেই সময় দোলে ছিলেন রিচা ঘোষ, তিতাস সাধুর মতো ক্রিকেটাররা। যাঁরা পরবর্তীকালে ভারতীয় দলে খেলেছেন। তৃষা গঙ্গাদিরা নেতৃত্বে সেই সাফল্যও ধরে রাখলো তাঁরা। গোটা টুর্নামেন্টে একের পর এক প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল ভারত।

বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল মহিলা ক্রিকেটের শক্তি ও প্রতিভার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল। এই জয় মহিলা ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে এবং ভবিষ্যতে আরও মেয়েদের ক্রিকেটে আসতে উৎসাহিত করবে। বিশ্বজয়ী এই মহিলা ব্রিগেডকে নিয়ে গোটা দেশ গর্বিত। তাঁদের এই জয় শুধুমাত্র এক ম্যাচ জেতা নয়, বরং ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।