নিউজ পোল ব্যুরো: চারিদিকে সরস্বতী পুজোর সাজ সাজ রব এবং এবছরের পুজো দুদিন অর্থাৎ রবিবার এবং সোমবার হলেও বেশিরভাগ স্কুল কলেজ রবিবারেই পুজো সম্পন্ন করেছে। তেমনই এক বিশেষ উদাহরণ দেখা গেল শান্তিপুর মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই স্কুলে বহু সংখ্যালঘু ছাত্ররাও পাঠরত তাই তারাও এদিন অংশগ্রহণ করেন পুজো আয়োজনে।
শান্তিপুর মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর নিষ্ঠার সঙ্গে সরস্বতী পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে। শিক্ষকদের পাশাপাশি ছাত্ররা মন্দির সাজানো, ঠাকুর আনা সহ সমস্ত পুজো প্রক্রিয়া পালন করে থাকে। এবছরেও অনেক মুসলিম ছাত্রও পুজোর কাজে সাহায্য করেছে, যা এই বিদ্যালয়ের সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ।
এছাড়া, মন্দির সাজানোর পাশাপাশি স্কুলে সংসক্রেটিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে ছাত্রদের আঁকা চিত্র প্রদর্শিত হয়েছিল। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও ডিজিটাল যুগের প্রতি সম্মান জানাতে ছাত্রদের দেওয়া ট্যাবলেটও মায়ের পায়ের কাছে অর্পণ করা হয়েছিল। এমনকি এক ছাত্র নিজে হাতে সরস্বতী মূর্তি তৈরি করে তা মণ্ডপে প্রতিষ্ঠা করেছিল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুভাশিষ দত্ত জানান, প্রতিবছরই ছাত্ররা একত্রিত হয়ে এই পুজোর আয়োজন করে এবং পরবর্তীতে সকল ছাত্রদের জন্য প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। বছরের পর বছর এই পরম্পরা চলমান রয়েছে, যা শান্তিপুর মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের এক বিশেষ ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, বোলপুরের নিঁচু বাঁধগোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেনি স্কুল কতৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্যোগ নিয়ে তালা বন্ধ অবস্থায় স্কুলের গেটের সামনে মায়ের মূর্তি দেখে সরস্বতী আরাধনা করলেন।স্কুলে সরস্বতী আরাধনা হচ্ছে না কেন এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তারপর বোলপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।