নিউজ পোল বিনোদন ব্যুরো:- বিশ্বসংগীতের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা শাকিরা (Pop star Shakira) আবারও গ্র্যামি জয় করলেন। নিজের জন্মদিনের দিন গায়িকার মাথায় উঠলো নয়া পালক। এটি তাঁর (Pop star Shakira) কেরিয়ারের চতুর্থ গ্র্যামি পুরস্কার। এবারের জয়কে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছেন তিনি, কারণ পুরস্কার গ্রহণের সময় তিনি এটি উৎসর্গ করেছেন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ‘অভিবাসী ভাইবোন’দের।

শাকিরা তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘Las Mujeres Ya No Lloran ‘ (নারীরা আর কাঁদে না)-এর জন্য এই সম্মান অর্জন করেন। ল্যাটিন পপের জগতে নিজের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখে তিনি এই অ্যালবামে নতুন এক আবেগের ছোঁয়া দিয়েছেন, যেখানে তিনি নারীদের শক্তি, স্বাধীনতা এবং আত্মসম্মানের কথা তুলে ধরেছেন। পুরস্কার গ্রহণের পর তিনি বলেন, ‘এই পুরস্কার আমি সেই সমস্ত অভিবাসী ভাইবোনদের উৎসর্গ করছি, যাঁরা নিজেদের স্বপ্নের জন্য, পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য প্রতিদিন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।’

শাকিরা নিজেও একজন অভিবাসী, যিনি কলম্বিয়ার বারানকিল্লা শহর থেকে উঠে এসে বিশ্ব সংগীত জগতে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর সংগীতজীবন শুরু হয়েছিল ল্যাটিন আমেরিকায়, তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি আন্তর্জাতিক তারকায় পরিণত হন। তাঁর সংগীতে সবসময়ই নিজ দেশের সংস্কৃতি এবং ল্যাটিন আমেরিকার ছোঁয়া পাওয়া যায়, যা তাঁকে বিশ্বব্যাপী আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।

অভিবাসীদের জন্য তাঁর এই বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ বিশ্বের নানা প্রান্তে অভিবাসীরা প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। শাকিরার মতো একজন বিশ্বতারকার কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পেয়ে তাঁরাও অনুপ্রাণিত হবেন। এদিন শাকিরার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমেরিকান গায়িকা জেনিফার লোপেজ। সেই সময় দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন শাকিরার দুই সন্তান মিলান ও সাশা।
শাকিরার সংগীত ক্যারিয়ার দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে, এবং এখনও তিনি বিশ্বসংগীতে এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী নাম। তাঁর জনপ্রিয় অ্যালবামগুলো যেমন – ‘Laundry Service ‘, ‘Oral Fixation ‘, ‘El Dorado ‘ ইত্যাদি বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলেছে। এবারের নতুন অ্যালবামও সেই ধারা বজায় রেখেছে এবং শ্রোতাদের মন জয় করেছে। শাকিরার এই গ্র্যামি জয় শুধু তাঁর জন্য নয়, বরং তাঁর সংগীতের অনুরাগী এবং বিশ্বব্যাপী অভিবাসী সম্প্রদায়ের জন্যও এক বিশেষ মুহূর্ত হয়ে থাকবে। তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করলেন, সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেও নিজের শিকড়কে ভুলে যাওয়া উচিত নয়, বরং তা গর্বের সঙ্গে বহন করা উচিত।