বুথ ফেরত সমীক্ষায় এগিয়ে বিজেপি,শনিবার ফলাফল

দেশ রাজনীতি

নিউজ পোল ব্যুরোঃ বুথ ফেরত সমীক্ষা কি এবার পালাবদল করে ফেলতে পারে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের? বুধবার ৫৮ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আর এখান থেকেই যেভাবে প্রশ্নচিহ্ন উঠে আসছে তাতে করে দ্বিতীয়বারের পর তৃতীয়বার কি আম আদমি পার্টির অন্যতম নায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল মসনদে বসবেন নাকি এবার তার যবনিকা পাত হতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত বেসরকারি সংস্থার বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী দিল্লি বিধানসভার ৭০ টি আসনের মধ্যে বিজেপি চল্লিশটিরও বেশি আসন নিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে বলেই ওই সংস্থা গুলির মত। অন্যদিকে আম আদমি পার্টির অন্যতম প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল তিনি জানিয়েছেন, এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট সেটাই অনেকটা কারণ হয়ে দাঁড়াবে এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে।

তার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন আয়করের ক্ষেত্রে যে ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে তাতেই মানুষের মন অনেকটাই ঘুরে গিয়েছে ফলে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হলেও এই চ্যালেঞ্জকে সামনাসামনি করার মতো ক্ষমতা রাখে আম আদমি পার্টি। দ্বিতীয়বার যখন ক্ষমতায় এসেছিল এই আম আর্মি পার্টি তখনও পর্যন্ত এই বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা যে ফলাফল ঘোষণা করেছিল তা সম্পূর্ণ উল্টো রূপ দেখা গিয়েছিল ফলে এবারেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন যে তিনি তৃতীয়বারের জন্য ফের দিল্লির বিধানসভায় জয়লাভ করে এসে ক্ষমতা দখল করবেন। অন্যদিকে একেবারেই ধরাসায়ী হয়ে পড়েছে একসময় দিল্লি বলতেই যাকে মানুষ চিনতে সেই শিলাদীক্ষীতের কংগ্রেস। দিল্লি মানেই শিলা দীক্ষিত আর শিলা দীক্ষিত মানেই কংগ্রেস এটাই ছিল এক সময়কার রীতি, কিন্তু বুধবারের বিধানসভার নির্বাচনে যে দৃশ্য মানুষ দেখেছে তাতে যে কংগ্রেস একেবারেই ধরাশায়ী হয়ে পড়েছে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এক কথায় দিল্লী বিধানসভা এবারও হাতছাড়া হতে চলেছে হাতের।

৬৮ আসনে লড়ে বিজেপি। জোটসঙ্গী জেডিইউ ও এলজেপি লড়ছে ২টি করে আসনে মহারাষ্ট্রে বিজেপির জোটসঙ্গী অজিতের এনসিপি বিজেপির বিরুদ্ধে ৩০ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। অন্যদিকে, ৭০ আসনে লড়ছে আপ, সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। পুরোদমে লড়াইয়ে বিএসপি। ৭০ টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তাঁরাও। ১২ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে আল ইন্ডিয়া মিল্লি মুসলিম লিগ। বামেরা লড়ছে ১০টি আসনে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মতো সাত বা আট দফাতে নয়, একদফাতেই নির্বাচন শেষ হয়েছে তাও সেটা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবেই। যা দেখে অন্তত পশ্চিমবঙ্গের শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী সকলের শেখার দরকার বলে মনে করেন সকলেই।

আর এখান থেকেই শনবার শেষ হাসি কে হাসবে তা সময়ই ঠিক করবে,তবে দিল্লিতে যদি ২৭ বছর পর ক্ষমতায় ফিরতে পারে বিজেপি তাহলে ফের আরেকবার কেজরিওয়ালের দুর্নীতি নিয়ে যে ছাড়াখার করবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।