নিউজ পোল বিনোদন ব্যুরো : বাংলা সিনেমায় (Entertainment) আবার একবার ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসছে এক শক্তিশালী নারী চরিত্র। পরিচালক শুভ্রজিত মিত্র নিয়ে আসছেন এক নতুন পিরিয়ড ড্রামা ‘রায়বাঘিনী ভবশঙ্করী’, যেখানে বাংলার প্রভাবশালী নারী শাসক ভবশঙ্করীর চরিত্রে অভিনয় করবেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় । ‘বিনোদিনী’ এবং ‘দেবী চৌধুরানী’র পর, এই ছবিতে ফের নারীকেন্দ্রিক এক অসামান্য চরিত্র রূপ পেতে চলেছে বড়ো পর্দায় (Entertainment)। বাংলার ইতিহাসে ভবশঙ্করী এক বিস্মৃত, কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি ছিলেন এক সাহসী শাসক, যিনি শুধু নিজের রাজ্য রক্ষা করাই নয়, শত্রুদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতেও পিছপা হননি। তাঁর জীবন ছিল বীরত্ব, প্রতিশোধ ও ক্ষমতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সেই কাহিনিকেই এবার রূপালি পর্দায় তুলে ধরতে চলেছেন পরিচালক শুভ্রজিত।
নিউজ পোল ইউটিউব লিংক: https://youtu.be/uVvk1b9UKnk
শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এরমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তবে এই ছবির জন্য তাঁকে সম্পূর্ণ নতুন এক অবতারে দেখা যাবে। ভবশঙ্করীর চরিত্রের জন্য তাঁকে নিতে হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি— যুদ্ধবিদ্যা থেকে শুরু করে শারীরিক কসরত, রাজকীয় ভঙ্গি থেকে সংলাপ প্রক্ষেপণ, সবকিছুতেই পরিবর্তন আনতে হয়েছে। এই চরিত্র প্রসঙ্গে শুভশ্রী বলেন, ‘ভবশঙ্করী শুধুমাত্র একজন মহারানি নন, তিনি একজন যোদ্ধা, এক দুর্ধর্ষ শাসক। এই চরিত্রে অভিনয় করতে পারা আমার জন্য সত্যিই গর্বের। এটি শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক ছবি নয়, এটি এক শক্তিশালী নারীর কাহিনি, যা আমাদের গর্বিত করবে।’
পরিচালক শুভ্রজিত মিত্র আগেও ঐতিহাসিক ও সাহিত্যভিত্তিক সিনেমা তৈরি করেছেন, যেখানে নারীকেন্দ্রিক চরিত্রের এক নতুন মাত্রা পেয়েছে বাংলা সিনেমা। ‘বিনোদিনী’ ও ‘দেবী চৌধুরানী’র মতো ছবির পর এবার তিনি নিয়ে আসছেন বাংলার এক বিস্মৃত বীরাঙ্গনার কাহিনি। শুভ্রজিত বলেন, ‘আমাদের ইতিহাসে বহু মহীয়সী নারী রয়েছেন, যাঁরা শুধু রাজ্যশাসন নয়, যুদ্ধক্ষেত্রেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন। ভবশঙ্করী সেই রকমই এক চরিত্র। এই ছবি শুধু ইতিহাস তুলে ধরবে না, বর্তমান প্রজন্মকে এক অনুপ্রেরণাও দেবে।’
এই ছবির জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশাল সেট, যেখানে ১৭-১৮ শতকের বাংলার রাজকীয় প্রেক্ষাপটকে জীবন্ত করে তোলা হয়েছে। পোশাক, অস্ত্রশস্ত্র, সংলাপ, সবকিছুতেই থাকছে ইতিহাসের নিখুঁত ছোঁয়া। সিনেমাটোগ্রাফি, আবহসংগীত ও যুদ্ধদৃশ্যের অসাধারণ কোরিওগ্রাফি নিয়ে এই ছবি যে দর্শকদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ‘বিনোদিনী’ ও ‘দেবী চৌধুরানী’র সাফল্যের পর, বাংলার সিনেমা জগতে নারীকেন্দ্রিক ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে। ভবশঙ্করীর গল্প সেই ধারাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। শুধু বিনোদন নয়, এই ধরনের সিনেমা বাংলার গৌরবময় অতীতকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবশঙ্করীর কাহিনি এক নারীর শক্তি, লড়াই ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকবে। এখন দর্শকের অপেক্ষা, কবে বড় পর্দায় দেখা যাবে এই মহাকাব্যিক কাহিনি!