নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:- রাজ্যে আদার জোগান বাড়াতে রাজ্য সরকার দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলিতে আদার চাষ (Ginger cultivation) বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে। বাঁকুড়ার সিমলাপালে পরীক্ষামূলক ভাবে আদা চাষ (Ginger cultivation) করে সাফল্য মিলেছে। এবার পাইলট প্রকল্প হিসেবে রাজ্যের আরও বেশ কিছু জায়গায় ওই মডেল অনুসরণ করে আদার চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে বলে রাজ্যের উদ্যানপালন উন্নয়ন পর্ষদের অধিকর্তা শুভাশিস বটব্যাল জানিয়েছেন।
নিউজ পোল ইউটিউব লিংক: https://youtu.be/uVvk1b9UKnk
রাজ্যের উদ্যানপালন মন্ত্রী অরূপ রায় কিছুদিন আগে সিমলাপালে গিয়ে সরেজমিনে প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। পার্শ্ববর্তী কোতুলপুর জয়পুর বিষ্ণুপুর তালডাংরা রায়পুর এবং সারেঙ্গা কৃষকদেরও আরো বেশি সংখ্যায় আদা চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: Shah Rukh-Gauri: শাহরুখ-গৌরীর প্রেমকাহিনির অজানা দিক
যদিও বিশ্বের অনেক অঞ্চলে আদা চাষ করা হয়, তবুও “দক্ষিণ-পশ্চিম ভারত থেকে চাষ এবং রপ্তানি করা প্রাচীনতম মশলাগুলির মধ্যে আদা অন্যতম”। বিশ্বব্যাপী আদা রপ্তানিতে ভারত সপ্তম স্থানে রয়েছে, তবে “বিশ্বে আদার বৃহত্তম উৎপাদনকারী”। উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ু, গড় বৃষ্টিপাত এবং জমির স্থানের কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অঞ্চলগুলি আদা উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
আদা বিভিন্ন ধরণের জমি এবং অঞ্চলে জন্মানোর ক্ষমতা রাখে, তবে উষ্ণ, আর্দ্র পরিবেশে, ৩০০ থেকে ৯০০ মিটার (১,০০০ থেকে ৩,০০০ ফুট) উচ্চতায় এবং কমপক্ষে ৩০ সেমি গভীর সুনিষ্কাশিত মাটিতে জন্মালে সবচেয়ে ভালো ফলন পাওয়া যায়। মাটিতে আদা ভালোভাবে বেড়ে ওঠার জন্য চাষের আগে কম বৃষ্টিপাত এবং চাষের সময় সুবর্ণ বৃষ্টিপাত অপরিহার্য।