নিউজ পোল ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) তার ফ্রান্স (France) সফর শেষ করে এবার আমেরিকা (USA) পৌঁছেছেন। বুধবার তিনি ওয়াশিংটন (Washington) শহরে এসে পৌঁছান, যেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয় অত্যন্ত রাজকীয়ভাবে। মোদীর বিমান অবতরণের পর থেকেই ওয়াশিংটন বিমানবন্দরে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বহু প্রবাসী ভারতীয়, যারা ভারতীয় পতাকা হাতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।
মোদীর আগমনে ওয়াশিংটন বিমানবন্দরে এক বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল। আমেরিকা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরের বাইরে প্রবাসী ভারতীয়রা “মোদী মোদী” ধ্বনি দিতে থাকেন। তারা প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। অনেকেই জাতীয় পতাকা হাতে নেচে-গেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর আনন্দ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে বুধবার হোয়াইট হাউসে (White House) বসে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আজই চড়া হারে শুল্ক চাপানোর বিষয়টি নিয়ে কিছু ঘোষণা করতে পারি। যেসব দেশ আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপরে চড়া হারে শুল্ক চাপায়, তাদের ওপরে পাল্টা চড়া শুল্ক ধার্য করবে আমেরিকা।’
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) আমন্ত্রণে তিনি সেখানে গিয়েছেন। মোদীর সফরের মূল উদ্দেশ্য ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দিক খোঁজা। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও শিক্ষাক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মোদীর সফর উপলক্ষে আমেরিকায় বসবাসরত ভারতীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। বিমানবন্দরে (Airport) উপস্থিত প্রবাসী ভারতীয়রা তাকে স্বাগত জানিয়ে গর্ব অনুভব করেছেন। অনেকেই মোদীর উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসা করে বলেন, ‘ভারত এখন বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এবং মোদীর নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।’ বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রবাসী ভারতীয় বলেন, ‘আমরা মোদীর নেতৃত্বে গর্বিত। তিনি আমাদের জন্য গর্বের প্রতীক। আজ এখানে এসে তাকে স্বাগত জানাতে পারা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এই সফরে মোদী ও ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু থাকবে প্রতিরক্ষা চুক্তি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং বিশ্ব রাজনীতিতে দুই দেশের ভূমিকা। পাশাপাশি, এই সফরের মাধ্যমে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর আন্তর্জাতিক কূটনীতির দক্ষতা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের গুরুত্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তার নেতৃত্বে ভারত বৈশ্বিক মঞ্চে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ফ্রান্স সফর শেষ করে আমেরিকায় (USA) তার এই সফরও বিশ্ব রাজনীতিতে (Political) গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের অন্যতম আকর্ষণ হল প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে তার বিশেষ মতবিনিময় সভা। বিভিন্ন শহরে ভারতীয় সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এটি ভারতীয়দের মধ্যে উৎসাহ ও গর্বের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) এই আমেরিকা সফর কেবলমাত্র কূটনৈতিক নয়, এটি ভারত-আমেরিকার (India-USA) সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিমানবন্দরে তার রাজকীয় অভ্যর্থনা প্রমাণ করে যে বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থান কতটা শক্তিশালী। মোদীর নেতৃত্বে ভারত উন্নয়নের পথে আরও এগিয়ে যাচ্ছে এবং তার এই সফর বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন দিক উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।