Pulwama Attack: ভালবাসার দিনে হিংসার ভয়াবহ নিদর্শন, ফিরে দেখা

অফবিট দেশ

নিউজ পোল স্পোর্টস ব্যুরো: ৬ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আজও তবু একইরকম দগদগে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার (Pulwama Attack) ক্ষত। ১৪ ফেব্রুয়ারি। যা নাকি ভালবাসার দিন নামে খ্যাত বিশ্বজুড়ে। এই ভালবাসার দিনেই হিংসার এক ভয়াবহ রূপ দেখতে পেয়েছিল ভারতবাসী। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার লেথোপোড়ায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় শহীদ হষ ৪০ জন সিআরপিএফ কর্মী।

আরও পড়ুন: Tutankhamun: কন্ডোম ব্যবহার করতেন মিশরের বালক ফ্যারাও, লিঙ্গ উত্থিত ৯০ ডিগ্রি

পুলওয়ামা জেলার লেথোপোড়ায় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে একটি গাড়িতে এই আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছিল। যার দায় পরবর্তীতে স্বীকার করে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জঈশ-ই-মহম্মদ। সেইসঙ্গে এও জানা গিয়েছিল যে, যিনি এই আত্মঘাতী হামলা (Pulwama Attack) করেছিলেন সেই আদিল আহমদ দার ছিলেন পুলওয়ামা জেলারই জনৈক বাসিন্দা।

৭৮ টি গাড়িতে মোট আড়াই হাজার সিআরপিএফ কর্মীকে নিয়ে একটি কনভয় ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে জম্মু থেকে এগিয়ে চলেছিল শ্রীনগরের দিকে। তখন হঠাৎই একটি বিস্ফোরক বোঝাই বাস এই কনভয়ে ঢুকে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনায় ৭৬ তম ব্যাটেলিয়নের ৪০ জন জওয়ান শহীদ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু ঘটে হামলাকারী আদিল দারেরও। যার বয়স ছিল মাত্র ২২।

নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/

এই ঘটনার পর ঝিলাম দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। এই ৬ বছরে পাল্টে গিয়েছে অনেক কিছুই। এমনকি এই ঘটনার পরেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলিতে বিমান হামলা শুরু করে। যা ছিল ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর প্রথমবার ভারতীয় যুদ্ধবিমানের নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে আক্রমণ। যদিও পুলওয়ামার ঘটনা অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। সেসময় বিজেপি নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি পুলওয়ামা হামলার (Pulwama Attack) পর প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করে বলেছিলেন এই ঘটনার জন্য দায়ী হল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গাফিলতি। তখন প্রধানমন্ত্রী তাঁকে মুখ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন।

২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে এই দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা সত্যপাল মালিক। বলাই বাহুল্য, তাঁর এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্যে আগুন জ্বলে ওঠে দেশজুড়ে। বিরোধীরা এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি দাবি করেছিলেন। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার (Pulwama Attack) সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রাজনাথ সিংহ। তাঁকে এবং বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও কাঠগড়ায় তোলেন বিরোধীরা‌।