নিউজ পোল ব্যুরো: নিউটাউনে(Newtown Incident) নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের (minor murder and rape in New Town) ঘটনার পর সল্টলেক (Salt Lake) ও বিধান নগর (Bidhannagar) এলাকায় ই-রিক্সা (e-rickshaw) পরিষেবা আরো সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে চালকদের পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সল্টলেকের ই-রিক্সা চালকদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় পরিচয়পত্র (identity card)। এর পাশাপাশি তাদের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেটও (certificates) দেওয়া হয়।
প্রথমত, চালকদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (West Bengal Police Clearance Certificate) প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিধান নগর পুলিশের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (Bidhannagar Police Clearance Certificate) ও তৃতীয়ত, পশ্চিমবঙ্গ সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (West Bengal Road Transport Workers Union) বিধান নগর শাখা, আইএনটিটিইউসি (INTTUC) অনুমোদিত সার্টিফিকেটও (union certificate) দেওয়া হয়েছে। এই পরিচয়পত্রে (ID card) ও সার্টিফিকেটে চালকদের ছবি (driver’s photo), নাম (name), বাড়ির ঠিকানা (address), এবং ফোন নাম্বার (phone number) দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও, ই-রিক্সাটি কোন স্ট্যান্ডে (rickshaw stand) চলে, সেই তথ্যও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সল্টলেক এলাকায় মোট ৯১টি ই-রিক্সা স্ট্যান্ড রয়েছে। এই স্ট্যান্ডগুলিতে প্রায় ২,২০০টি ই-রিক্সা চলাচল করে। ইউনিয়নের দেওয়া সার্টিফিকেটে প্রতিটি চালকের নির্দিষ্ট তথ্য বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা ও আস্থা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। পরিচয়পত্র ও সার্টিফিকেট প্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় সল্টলেক ও বিধান নগর এলাকায় ই-রিক্সা পরিষেবায় শৃঙ্খলা ও নির্ভরযোগ্যতা আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই পদক্ষেপটি শুধুমাত্র যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে না, বরং অপরাধ প্রতিরোধেও (crime prevention) কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। ই-রিক্সা চালকদের সমস্ত তথ্য পুলিশের কাছে থাকা অবস্থায় অপরাধের দ্রুত তদন্ত (quick investigation) ও সন্দেহভাজন চিহ্নিতকরণ (suspect identification) সহজ হবে। এছাড়াও, যাত্রীরা যেকোনো প্রয়োজনে চালকের পরিচয় ও তথ্য যাচাই করার সুযোগ পাবেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।