Manipur: মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মধ্যে নৈতিক জয় পেল বিরোধীরা

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: দেড় বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও মণিপুরে(Manipur) অশান্তির অব্যহত। উত্তর-পূর্বের রাজ্য নিয়ে দিনে দিনে কেন্দ্রের মাথাব্যথা কমার বদলে বেড়েছে। মাঝে কিছু দিন রাজ্যে সেনা-শাসনও জারি হলেও অশান্তির আঁচ কমেনি নামেমাত্রও। তারউপর কিছু দিন আগেই এন বীরেন সিংহ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সেই ইস্তফার পরেই দেশজুরে নতুন করে চর্চার কেন্দ্রে উঠে আসে মণিপুরের নাম। কে হবেন এবার রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? বিজেপি কাকে বেছে নেবে এই জল্পনা চলছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রী না বাছাই করে উল্টে মণিপুরে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। এই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন।

মণিপুরের(Manipur) পরিস্থিতি ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথমে মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রাণহানি হয়েছে শতাধিক মানুষের। গৃহহীন হন হাজার হাজার মানুষ। অশান্তির শুরু থেকেই বিজেপি বিরোধীদলগুলি মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি করেছিল। তবে সে কথায় কানই দেয়নি কেন্দ্র। কিন্তু এতদিন পর কি এমন নতুন করে হল যে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে জারি করতে হল রাষ্ট্রপতি শাসন? নাকি বিরোধীদের চাপে পরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল মোদী সরকার? টানা এতদিন ধরে কেন এই অচলাবস্থা? এত মানুষের প্রাণহানি হলেও কেন মোদী সরকার রাজ্যের অবস্থাকে কেন গুরুত্বসহকারে দেখছে না? ঘুরপাক খাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। অতীতে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর ভুমিকা নিয়ে ।

নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/

রাজনইতিক মহলের কাছে এটা অজানা নয় যে মণিপুর(Manipur) ছিল বিজেপির(BJP) কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। গত কয়েক বছরে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে বিজেপি যেভাবে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করেছে তাতে পরিস্থিতির নিরিখে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা ছিল নৈতিক হারের মতই। শুরুতেই এই কাজ করলে হার মানতে হত বিরধীদের কাছে। যা মোদী সরকারের ভাবমূর্তিতে যে স্বচ্ছ প্রভাব ফেলত না তা একেবারেই স্পষ্ট ছিল। সেই কারণে মণিপুরে উত্তাপ বৃদ্ধি পেলেও রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পক্ষপাতি ছিল না মোদী সরকার। এই ঘটনার জন্য কংগ্রেস বারে বারে দায়ী করেছেন এন বীরেন সিংহ-কেই। কংগ্রেস দাবি করেছে, ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে বিশৃঙ্খলায় ইন্ধন জুগিয়েছেন এন বীরেন সিংহ। সেটাই মণিপুরের গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। তবে তা এই বিরোধীতা সত্বেও নিজেদের মাথা ঝোঁকাতে নারাজ ছিল বিজেপি সরকার। কিন্তু হঠাত করেই এন বীরেন সিংহ-এর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা ও প্রকাশ্যে রাজ্যের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়াই বিপাকে ফেলেছে মোদী সরকারকে। শ্যাম রাখি নাকি কূল রাখি ব্যপার হয়ে গিয়েছে মোদী সরকারের কাছে। এত চেষ্টা সত্বেও শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দিকেই হাঁটতে হল বিজেপিকে। এই সিদ্ধন্তকে বিজেপির নৈতিক পরাজয় ও বিরোধীদের নৈতিক জয় হিসেবে দেখছে রাজনইতিক মহল।