নিউজ পোল স্পোর্টস ব্যুরো: গত সপ্তাহেই বাংলাদেশ নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন, বাংলাদেশ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই নেবেন। এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্যের এক সপ্তাহের মধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy) মুখোমুখি ভারত-বাংলাদেশ (IND Vs BAN)। খুব স্বাভাবিকভাবেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে এই ম্যাচ।
আরও পড়ুনঃ IND Vs BAN: দুবাইয়ে মুখোমুখি দুই পড়শী, দেখে নিন দুই দলের হেড টু হেড পরিসংখ্যান
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে পাকিস্তানের থেকেও বেশি মাথাব্যথার কারণ। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রকাশ্যে ভারত প্রসঙ্গে বিদ্বেষীমূলক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে সে দেশের একাধিক ব্যক্তিকে। অন্যদিকে ২২ গজে ভারত-বাংলাদেশ (IND Vs BAN) দ্বৈরথ তো ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকেই এক আলাদা মাত্রা পেয়েছে।
২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে রুবেল হোসেনের ফুলটসে রোহিত শর্মাকে নট আউট ঘোষণা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাংলাদেশি সমর্থকরা। সেই থেকেই ভারত-বাংলাদেশ (IND Vs BAN) ক্রিকেট ম্যাচ মানেই দুই দলের সমর্থক এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। ২০১৬ সালে টিম ইন্ডিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে ছিটকে যাওয়ার পর বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, “ভারতকে হারতে দেখে মনটা খুশি হয়ে যায়।”
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/
এভাবেই বারংবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটের ম্যাচে বিরাট কোহলির আউট করে আগ্রাসী উদযাপন করেছিলেন বাংলাদেশি বোলার তানজিম সাকিব। সেই ঘটনা নিয়েও কম চর্চা হয়নি। এখনও হয়। সব মিলিয়ে ভারত-বাংলাদেশ ভারত-পাক দ্বৈরথের ধারে কাছে না আসতে পারলেও আলাদাই জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই বৃহস্পতিবার দুবাইয়ের মাঠে বল গড়ানোর আগে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে।