নিউজ পোল ব্যুরো: মরাঠাভূমের রাজনীতি সবসময়ই চর্চায় থাকে। কিছু না কিছু হতেই থাকে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)যা নজর কাড়ে গোটা রাজনৈতিক মহলের। ২০২২ সালের পর ফের একবার রাজনৈতিক নাটক দেখতে চলেছে মহারাষ্ট্র। এমনটাই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে অন্দরে। ফাটল ধরেছে মহাজুটিতে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের (Debendra Fadnavis) সঙ্গে নাকি দূরত্ব বাড়ছে উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের(Eknath Shinde)। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিন্ডে।
২০২৪ সালে মহারাষ্ট্রে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি(BJP)। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও বেশ অনেকটাই সময় নিয়েছিল বিজেপি। একনাথ শিন্ডেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় দেবেন্দ্র ফডণবীসকে। শিন্ডে পান উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ। তখন থেকেই নাকি মনকষাকষি শুরু। তারপর শুক্রবার মহাজুটিতে ভাঙনের জল্পনা উস্কে দিলেন একনাথ শিন্ডে। হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির কাছে একেক সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকলেও তাঁকে যেন একেবারেই হালকা ভাবে নেওয়া না হয়। মনে করিয়ে দিয়েছেন ২০২২ সালের মহারাষ্ট্রের সরকারের পতনের ও পালাবদলের প্রসঙ্গও। একনাথ বলেছেন, ‘‘আমি দলের এক জন সাধারণ কর্মী। তবে আমি কিন্তু বাবাসাহেবের এক জন কর্মীও। সেটা সকলের বোঝা উচিত। ২০২২ সালে আমাকে হালকা ভাবে নেওয়া হয়েছিল, তখন কিন্তু তৎকালীন সরকারকে উৎখাত করেছিলাম।’’ তারপরেই রাজনৈতিক মহলের অন্দরে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ফের উদ্ধবের শিবসেনা শিবিরে ফিরবেন একনাথ।
ফডণবীসের ডাকা একাধিক বৈঠক এড়িয়েছেন শিন্ডে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের জালনায় ৯০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন শিন্ডে যখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আর তাতেই স্থগিতাদেশ জারি করেন দেবেন্দ্র। অনুমোদনের নেপথ্যের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সেটাকে তদন্তের আওতায় আনার কথাও বলেন । তারপর থেকেই নাকি একনাথ দেবেন্দ্র ফডণবীসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন।