ECG: ইসিজি স্বাভাবিক মানেই হৃদ্‌রোগ নেই—এই ধারণা ভুল

স্বাস্থ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: হৃদরোগ নির্ণয়ে ইসিজি (Electrocardiogram – ECG) একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হলেও, শুধুমাত্র ইসিজি স্বাভাবিক থাকলেই হার্ট সুস্থ আছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রেই ইসিজি স্বাভাবিক থাকলেও হৃদ্‌রোগ (Heart Disease) বা হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হতে পারে। হার্টের নির্দিষ্ট ইলেকট্রিক সিগন্যাল রয়েছে, যা হৃৎস্পন্দন (Heartbeat) নিয়ন্ত্রণ করে। সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে হৃদপিণ্ড রক্ত সঞ্চালন করে। এই ইলেকট্রিক সিগন্যালের গ্রাফিক্যাল রেকর্ডই ইসিজি। ইসিজি(ECG) বিশ্লেষণের মাধ্যমে হৃৎস্পন্দনের হার, ছন্দ (Rhythm), হার্টের চেম্বারের আকার এবং ইলেকট্রিক ব্লক (Electrical Block) আছে কিনা তা বোঝা যায়।

ইসিজি স্বাভাবিক থাকলেও হৃদ্‌রোগ থাকতে পারে কেন?
১. হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ: বুকের মাঝখানে চাপ বা ব্যথা, তীব্র ভারী অনুভূতি ইসিজিতে ধরা পড়তে পারে, তবে নীরব হার্ট অ্যাটাক (Silent Heart Attack) ইসিজিতে ধরা না-ও পড়তে পারে।

  1. ডায়াবেটিস ও স্নায়ুর সমস্যা: দীর্ঘমেয়াদী ডায়াবেটিস (Diabetes) বা স্নায়ুজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যথার অনুভূতি কম হয়, ফলে উপসর্গ ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
  2. অ্যানজাইনা (Angina): পরিশ্রম করলে ব্যথা হয়, বিশ্রামে কমে যায়, কিন্তু বিশ্রামের সময় ইসিজি স্বাভাবিক আসতে পারে।
  3. অ্যারিদমিয়া (Arrhythmia): হৃৎস্পন্দনের অনিয়মিততা ইসিজিতে না-ও ধরা পড়তে পারে, বিশেষ করে স্বল্পস্থায়ী হলে।
  4. ভালভের সমস্যা ও কার্ডিওমায়োপ্যাথি (Cardiomyopathy): হার্টের ভালভ ও মাংসপেশির কিছু রোগ ইসিজিতে স্পষ্ট নাও হতে পারে, যেখানে ইকোকার্ডিওগ্রাফি (Echocardiography – ECHO) প্রয়োজন হয়।

করণীয় কী?
বুকব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় বা অজ্ঞান হয়ে পড়ার মতো উপসর্গ থাকলে ইসিজি(ECG) স্বাভাবিক হলেও গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথম ইসিজি স্বাভাবিক এলেও সন্দেহ থাকলে পর্যবেক্ষণে রাখা ও ট্রপোনিন (Troponin Test) পরীক্ষা করা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শে ইটিটি (ETT), হল্টার মনিটরিং (Holter Monitoring) বা ইকো (ECHO) করানো উচিত।

ইসিজি স্বাভাবিক থাকলেও নিশ্চিত হতে অন্যান্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন।