নিউজ পোল ব্যুরো: সম্প্রতি নয়া পালক যোগ হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মুকুটে। তাঁর উদ্যোগে ফের চালু হয়েছে বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ রেল প্রকল্পের কাজ। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরের বিমানে বারাণসী থেকে কলকাতা ফিরলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর ফিরেই নিজের চেনা মেজাজে শাসক দলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানালেন তিনি।
এদিন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। আহিরীটোলার ঘাটে ট্রলি ব্যাগে মহিলার টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “পুলিশকে কেউ ভয়ই পাচ্ছে না। যখনই কোনো মহিলাঘটিত অপরাধ হচ্ছে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন।” এরই সঙ্গে অভিযোগ করেন, “গতকাল যেমন টাকা বাড়িয়ে ডাক্তারদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করলেন। সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি বা হোম গার্ডের চাকরি দিয়ে সব ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হচ্ছে। মহিলারা মোটেই সুরক্ষিত নন।”

সোমবার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বেতন এবং এবং ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মেদিনীপুরের জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের গণ্ডি ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির মতে, এটা ডাক্তারদের ক্ষোভ প্রশমিত করার জন্য। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী দেখেছিলেন ডাক্তারদের মধ্যে এক বিরাট ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। সেই ক্ষোভকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাই উনি করছেন।” যদিও পাশাপাশি সুকান্ত এও বলেন, “ডাক্তার উচ্চশিক্ষিত। তাঁরা এই প্রলোভনে পা দেবেন না বলেই আমার বিশ্বাস।”
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/
এছাড়া এদিন পানাগড়ে চন্দননগরে তরুণীর মৃত্যু নিয়েও শাসককে নিশানায় রাখেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। পানাগড়কাণ্ডে পুলিশের নজরে রয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবলুসহ ৪ জন। এদিকে অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত প্রশ্ন তোলেন, “এজন্য দায়ী কে? কেন কোনো পুলিশ ভ্যানের দেখা পাওয়া গেল না?” অন্যদিকে বসিরহাটের সাতচরায় বামুন্ডিতে ৩০ লক্ষ টাকার দু’তলা বাড়ির উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, গ্রামে গ্রামে পরিষেবা নেই। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। জেলায় জেলায় সুপারস্পেশালিটি বিল্ডিংগুলি রেফার করার অস্ত্রে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ সুকান্তর।