Warplane: ভারতের যুদ্ধবিমান খাতে নতুন কৌশল! HAL নয়,বেসরকারি খাতের সাহায্য?

আন্তর্জাতিক

নিউজ পোল ব্যুরো: ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) আমেরিকা রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে বিশেষত ভারত নতুন চ্যালেঞ্জের (Challenge) সম্মুখীন হয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনী অতি আধুনিক অস্ত্র (Modern weapons) সরবরাহে সমস্যা অনুভব করছে। যদিও অ্যামেরিকা ইতিমধ্যেই ভারতকে তার অত্যাধুনিক F-35 যুদ্ধবিমান (Warplane) অফার করেছে। তবে ভারত বর্তমানে একটি বড় সিদ্ধান্ত (Decision) নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা দেশের অস্ত্র শিল্পের ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করবে এই সিদ্ধান্ত গত ৭০ থেকে ৭৫ বছর ধরে হওয়ার দাবি ছিল। কিন্তু কোন সরকারই এটি বাস্তবায়নে সফল হয়নি।

আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/02/26/india-bangladesh-diplomatic-tensions-escalate/

ভারত দীর্ঘ সময় ধরে দেশীয় LCA তেজাস যুদ্ধ বিমানের উন্নয়ন ও উৎপাদনে যুক্ত রয়েছে প্রায় ৩০ বছর ধরে এই বিমানটি তৈরি করা হচ্ছে এবং এখন এটি বিমান বাহিনীতে (Air Force) অন্তর্ভুক্ত এর উন্নত সংস্করণ MK1A তৈরির কাজ চলছে যা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (Warplane) হিসেবে পরিচিত। ভারতের বিমান বাহিনী প্রথমে ৮৩ টি এবং পরে ৯৭ টি তেজাস MK1A (Tejas MK1A) বিমানের অর্ডার দিয়েছে যার মোট মূল্য প্রায় ১.১৩ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু HAL এই অর্ডারের সরবরাহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বর্তমানে ভারতীয় বিমান বাহিনী (Indian Air Force) যুদ্ধবিমান (Warplane) এর ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে তাদের প্রয়োজন ৪২ টি স্কোয়াড্রন কিন্তু বর্তমানে ৩১টি স্কোয়াড্রন রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ চীন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) সাথে নিরাপত্তা (Security) ঝুঁকি মোকাবিলা করতে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান সরবরাহ দ্রুততার সঙ্গে বাড়ানো জরুরি।যদিও HAL প্রতিবছর ৩০ টি যুদ্ধবিমান সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন মনে হচ্ছে।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:https://www.facebook.com/share/1XhiZuM5DK/

এক্ষেত্রে, ভারত সরকার একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করেছে, যা যুদ্ধবিমান উৎপাদন (Fighter aircraft production) দ্রুততর করার জন্য বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিতে পারে। এই কমিটি প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংয়ের (Rajesh Kumar Singh) নেতৃত্বে কাজ করছে এবং এটি রিপোর্ট এক মাসের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। বেসরকারি খাতের অন্তর্ভুক্তি HAL-এর কিছু প্লান্ট আউটসোর্স করার মাধ্যমে তেজাস বিমানের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হতে পারে।

এই পদক্ষেপটি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে ভারতের যুদ্ধবিমান (Indian fighter jets) উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশি যুদ্ধবিমানের উপর নির্ভরতা কমবে। তেজাস বিমানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে, ভারত চীনা ও পাকিস্তানি হুমকির মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে এবং তার যুদ্ধবিমান খাতে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক (Milestone) অর্জন করবে। এটি শুধু ভারতের প্রতিরক্ষা সব ক্ষমতা শক্তিশালী করবে না বরং বিদেশি যুদ্ধবিমান যেমন আমেরিকান F-35 বা রাশিয়ান সুখোই ৫৭-এর উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।

আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/02/26/donald-trump-usaid-bangladesh-ngo-funding-scandal/