Tufanganj Fraud Protest: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, টাকা ফেরত চেয়ে ধর্ণায় বসে প্রতিবাদ!

জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: কোচবিহারের তুফানগঞ্জে এক তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার(Tufanganj Fraud Protest) অভিযোগ তুলে প্রকাশ্য ধর্ণায় (protest) বসেছেন এক ব্যক্তি। শনিবার সকালে তুফানগঞ্জ শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের কামারপোট্টি এলাকায় প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান বিক্ষোভে (demonstration) বসেন নিপু হালদার নামে এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, পাঁচ বছর আগে তৃণমূল নেতা সৌরভ সরকার তাঁকে উচ্চ প্রাথমিক (Upper Primary) স্তরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৯.৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন, কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তিনি সেই টাকা ফেরত পাননি।

আরও পড়ুন:- https://thenewspole.com/2025/03/01/temporary-pacemaker-saves-mother-and-baby-life-by-cnmc/

এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য (controversy) ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ব্যাপারটি দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ (Tufanganj Fraud Protest)। অভিযোগকারী নিপু হালদার জানান, “সৌরভ সরকার আমাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন। বহুবার টাকা ফেরত চেয়েছি, কিন্তু তিনি তা ফেরত দেননি। বাধ্য হয়েই আমি প্রকাশ্যে ধর্ণায় বসেছি, যাতে ন্যায়বিচার পাই।” তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সৌরভ সরকার। তাঁর বক্তব্য, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন (baseless)। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার (political conspiracy) কারণে আমাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।” তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই বিরোধীরা (opposition) এই চক্রান্ত (conspiracy) করছে।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:-‌ https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/

এই ঘটনাকে(Tufanganj Fraud Protest) কেন্দ্র করে তুফানগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে (political circles) ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে নতুন করে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (teacher recruitment scam) এবং প্রতারণার অভিযোগ নতুন নয়, কিন্তু এবার সরাসরি একজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ (public protest) করছেন, যা বিরল ঘটনা।তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত (investigation) শুরু করেছে এবং অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। এখন দেখার, প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় এবং নিপু হালদার তাঁর অর্থ ফেরত পান কিনা ।