Bhotpatti Rail-Station: টিকিটের অভাবে যাত্রীরা বিপদে!

জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: ভোটপট্টি রেল স্টেশনে (Bhotpatti-Rail Station) সন্ধ্যার পর দেখা দেয় এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি (Uncomfortable situation Problem), যেখানে মদের আসর বসে ও টিকিটের (Tickets) ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে সমস্যায়। উত্তরবঙ্গের উন্নতিতে অনেক রেল স্টেশন নতুন আঙ্গিকে সাজানো হলেও, ভোটপট্টি রেল স্টেশন (Bhotpatti-Rail Station) তা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। ময়নাগুড়ি (Maynaguri) ব্লকের এই ছোট্ট স্টেশনটি সন্ধ্যা নামলেই এক অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আরও একটি বড় সমস্যা, এখানে কোনো টিকিট কাউন্টার (Ticket counter) নেই, যার ফলে যাত্রীরা অবৈধভাবে ট্রেনে চড়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি, মদ্যপানের উপস্থিতি স্টেশনকে (Station) রাতের অশান্তি কেন্দ্র করে তুলেছে।

আরও পড়ুন:Weather Update: তীব্র গরমে নাজেহাল শহর!

কয়েক বছর আগে স্টেশনটির (Bhotpatti-Rail Station) উন্নয়ন হয়েছে, নতুন টিকিট কাউন্টার এবং আধুনিক সুবিধা স্থাপন করা হয়েছিল। তবে। বর্তমানে তা কার্যকরী নয়। এতে করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ও শিলিগুড়ির (Siliguri) শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে বিনা টিকিটে (Without ticket) যাত্রা করছেন। দিনে বেশ কিছু ট্রেন চললেও, কেবল দুটি ডিএমইউ ট্রেন – বামনহাট-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে এই স্টেশনে থামে।

স্থানীয় বাসিন্দা ভগবতী ঘোষ জানিয়েছেন, স্টেশনটি এতটাই অশান্ত হয়ে যায় সন্ধ্যার পর, যে আতঙ্কিত হতে হয়। আমরা সবসময় ভয়ে থাকি। একই দাবি করেছেন, পদমতি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মাধব রায়ও। তিনি জানান, মহিলারা সন্ধ্যার পর স্টেশন পার হতে ভয় পান, আলো কখনো জ্বলে কখনো নেভে। স্টেশনটি পুরোপুরি অন্ধকারে ঢাকা পড়ে থাকে।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:https://www.facebook.com/share/1XhiZuM5DK/

অন্যদিকে স্থানীয়রা বহুবার রেল কর্তৃপক্ষের কাছে এই সমস্যা সমাধানের দাবি জানালেও, কোন স্থায়ী উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতি নিয়ে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডঃ জয়ন্ত কুমার রায় জানিয়ে দিয়েছেন রেল মন্ত্রীদের কাছে বিষয়টি দ্রুত তুলে ধরা হবে।’

আরও পড়ুন:Ram Mandir Attack: ধর্মীয় স্থানে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র!

এখন স্থানীয়দের দাবি, স্টেশনে মদের আসর বন্ধ করা হোক এবং টিকিট (Ticket) ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হোক, যাতে যাত্রীরা নিরাপদে ও বৈধভাবে প্রেমে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। সবাই এখন অপেক্ষা করছে, রেল কর্তৃপক্ষ কবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।