Tariff War: মার্কিন-চিন শুল্ক যুদ্ধ কি মোড় নিচ্ছে বিশ্বযুদ্ধের দিকে?

আন্তর্জাতিক রাজনীতি

নিউজ পোল ব্যুরো: আক্রমণ। পাল্টা আক্রমণ। চিন বা আমেরিকা, কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। সম্প্রতি চিনা পণ্যে আমেরিকার শুল্ক চাপানোর ঘটনা প্রসঙ্গে চিনের দূতাবাসের তরফে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। এবারে পাল্টা হুঁশিয়ারিতে পেন্টাগনও জানিয়ে দিল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত তারা। সব মিলিয়ে শুল্ক যুদ্ধ (Tariff War) যেন মোড় নিচ্ছে এক নতুন দিকে।

আরও পড়ুনঃ Trump and Putin: আরও কাছাকাছি আমেরিকা-রাশিয়া, ট্রাম্পকে ঢালাও প্রশংসা পুতিনের

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই নয়া শুল্কনীতি চালু করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যে দেশ আমেরিকার পণ্যের ওপর যত বেশি শুষ্ক চাপায়, আমেরিকা সেই দেশের পণ্যের ওপর তত বেশি শুল্ক চাপাবে। এই নীতিই নিয়েছেন ট্রাম্প। আর মার্কিন রাষ্ট্রপতির এহেন ঘোষণার পরই কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে আমেরিকার চিনা দূতাবাস জানায়, যদি আমেরিকা যুদ্ধ চায়, তা সে শুল্ক যুদ্ধ (Tariff War) হোক কিংবা অন্য যুদ্ধ তাহলে চিন শেষপর্যন্ত লড়াই করতে রাজি।

Tarrif

বেইজিংয়ের তরফে যুদ্ধের ইঙ্গিত দেওয়া হতেই নড়েচড়ে বসেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এক অনুষ্ঠানে এসে বলেন, “আমরাও তৈরি আছি। যারা শান্তি চায় তাদের যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হয়।” এরই সঙ্গে যোগ করেছেন, “নিজেদের সামরিক শক্তিকে নতুন করে সাজিয়ে তুলছি আমরা। চিন বা যেকোনো বড় শক্তির সঙ্গে লড়তে আমাদের শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।”

নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের এহেন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই আভাস দিচ্ছে নয়া জল্পনার। এর আগে ২০২২ সালে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয় তখন অনেকেই তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত বলে ধরে নিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত তা হয়নি ঠিকই তবে চিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক চোখরাঙানি ফের উস্কে দিচ্ছে সেই জল্পনা। কারণ এই দুই দেশ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় দুই শক্তি। এবার শুল্ক যুদ্ধ (Tariff War) আদতেই বিশ্বযুদ্ধের দিকে মোড় নেয় কি না এখন সেটাই দেখার।