নিউজ পোল ব্যুরো: খাস কলকাতায় উদ্ধার হল হাতির দাঁত (Elephant Tusks)। বৃহস্পতিবার কলকাতার হাজরা মোড়ে মোট চারটি হাতির দাঁত উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে। সূত্রের খবর, ধৃতরা ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের বাসিন্দা। ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল (WCCC) এবং ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর (WCCB) যৌথ উদ্যোগে তাদের পাকড়াও করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Fire Incident : টায়ার রিসোলিং কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
আরও পড়ুনঃ Bangladesh: শরীর পুরোপুরি না ঢাকায় ছাত্রীকে হেনস্থা, শাস্তি নয়, মিলল বীরের সম্মান
১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণী আইন চালু করেছিল ভারত সরকার। এই আইন অনুসারে হাতি বা যেকোনো বন্যপ্রাণী শিকার করাই আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। একইভাবে মৃত বন্যপ্রাণীর চামড়া, দাঁত বা শরীরের যেকোনো অংশ বিক্রি করাও আইনত নিষিদ্ধ। তবু আজও রাতের অন্ধকারে দেশের বিভিন্ন জঙ্গলে চলে অবৈধ চোরাশিকার। আর তারপর শিকার করা প্রাণীর চামড়া, দাঁত ইত্যাদি পাচার করা হয় চোরাপথে।

জানা গিয়েছে, এই পাচারচক্রটিকে ধরতে রীতিমত ফাঁদ পেতেছিলেন ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল এবং ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্মীরা। তাঁরা গোপন সূত্রে জানতে পারেন যে ঝাড়খণ্ড থেকে চারটি মহামূল্যবান হাতির দাঁত (Elephant Tusks) কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এরপরই ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করা হয় আন্তঃরাজ্য চক্রটির সঙ্গে। সেইমত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা হাজরা মোড়ে দাঁতগুলি বিক্রি করতে এলে তাদের পাকড়াও করা হয়।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির দাঁতের (Elephant Tusks) খবর পেয়েই ক্রেতা সেজে চক্রটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্মীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধৃত ৪ জন ব্যক্তি চারটি হাতির দাঁত নিয়ে উপস্থিত হলে হাজরা মোড় এলাকায় ছড়িয়ে থাকা বন দপ্তরের বাকি কর্মীরা এই ৪ জনকে ঘিরে ফেলে। তারপর তাদের কাছ থেকে ৪টি হাতির দাঁত উদ্ধার হয়।