Butterfly Park: প্রকৃতি আর শিক্ষা একসঙ্গে, স্কুলে প্রজাপতির রাজ্য!

কলকাতা রাজ্য শিক্ষা

নিউজ পোল ব্যুরো: বাংলায় বাটারফ্লাই পার্ক (Butterfly Park) বা প্রজাপতি পার্ক- এগুলো আমরা সাধারণত বনভূমি কিংবা বিশেষ কোনো প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যে (Natural sanctuary) দেখি। তবে আপনি জানেন কি? এখন থেকে আমাদের স্কুলেও এ ধরণের পার্ক গড়ে উঠতে চলেছে! ভাবুন তো, স্কুলের খেলার মাঠে প্রজাপতিরা (Butterfly) উড়ে বেড়াবে এবং ছাত্র ছাত্রীরা তাদের প্রজাপতি বন্ধুদের সঙ্গে শিখবে কীভাবে প্রকৃতি (Nature) সুন্দর থাকে। রাজ্য সরকার (State Government) এমনই একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে সরকারি স্কুলগুলিতে বাটারফ্লাই পার্ক (Butterfly Park) তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন:Foreign ministry official: দিল্লিতে ফরেন সার্ভিস অফিসার ঘটালেন বড় ঘটনা

এটি মোটেও কোনো মজার ব্যাপার নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কারণ প্রজাপতির সংখ্যা দিন দিন কমছে এবং যখন প্রজাপতি কমে যায়, তখন প্রকৃতির ভারসাম্যও (Balance of nature) বিঘ্নিত হতে থাকে। প্রজাপতি সাধারণত ফুলের পরাগমিলন (Pollination) ঘটায়, যার ফলে গাছপালা আরও বেশি ফুলে ও ফলে পরিণত হয়। তাই প্রজাপতির সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য (Biodiversity) রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এখন, শিক্ষার্থীরা যদি স্কুলে বসে বসে প্রজাপতিদের নিয়ে না পড়ে, তাহলে তারা কী পড়বে? তাইতো স্কুলে বাটারফ্লাই পার্ক (Butterfly Park) থাকলে শিক্ষকরা খুব সহজে প্রজাপতির জীবনচক্র (Butterfly life cycle) নিয়ে পাট দিতে পারবেন। এতে ছাত্ররা শুধু পড়াশোনা করবে না, প্রকৃতির সঙ্গেও এক অদ্ভুত বন্ধুত্ব (Friendship) তৈরি হবে।

আরও পড়ুন:Snake in Icecream Bar: মিষ্টির বদলে বিষ?

রাজ্য জীববৈচিত্র্য পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে বাংলার ৮৪টি স্কুলে বাটারফ্লাই পার্ক (Butterfly Park) তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। আর এই পার্কগুলো তৈরি হবে স্কুলের মাঠে। তবে শহরের মত জায়গায় যেখানে জমি কম সেখানে সমস্যা হতে পারে তবুও মুর্শিদাবাদ,বীরভূম, ফাঁসিদেওয়া, ময়নাগুড়ি- এসব এলাকায় এই পার্কগুলো গড়ে তোলা হবে।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:https://www.facebook.com/share/1XhiZuM5DK/

শুনে অবাক হচ্ছেন তো? এখন থেকে স্কুলে গিয়ে পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে প্রজাপতির (Butterfly) রাজ্যে ঢুঁ মারবেন। আবার প্রজাপতি গাছ থেকে মধু সংগ্রহ করবে, অন্য গাছে ডিমও পাড়বে – এমনকি ছাত্ররা প্রকৃতির এই অদ্ভুত খেলায় অংশ নেবে। একদিকে পড়াশোনা,অন্যদিকে প্রকৃতির শ্রেণীকক্ষে আসর। যেন দুই পাখি এক পাথরে।