নিউজ পোল ব্যুরো: একই এপিক নম্বরে (Epic Number) একাধিক ভোটারের অভিযোগ তুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তপ্ত রাজ্য তথা দেশের রাজনীতি। দেশের নির্বাচন কমিশন কারণের ব্যখ্যাও দিয়েছিল। যা নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ধরতে তৃণমূল নেত্রী গড়ে দিয়েছেন কমিটিও। সেই উত্তাপের আবহেই এবার নির্বাচন কমিশন জানাল দেশের প্রত্যেক ভোটারের জন্য চালু করা হবে ইউনিক এপিক নম্বর। এই ঘোষণার পরেই তৃণমূল(TMC) বলছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Benrjee) জয় হয়েছে।
তৃণমূলের নেতারা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপের মুখে নতিস্বীকার কোর্টে বাধ্য হয়েছে কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৩ মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা থেকে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সরানো হবে। কমিশন জানিয়েছে, আর থাকবে না একই এপিক নম্বর বদলে চালু করা হবে ইউনিক এপিক নম্বর। কমিশন বলেছে, “ডুপ্লিকেট ইলেক্টোরাল ফটো আইডেন্টিটি কার্ড (EPIC) নম্বর ইস্যু করার বিষয়ে, কমিশন ইতিমধ্যেই বিষয়টি বিবেচনা করেছে। EPIC নম্বর নির্বিশেষে, কোনও নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রের ভোটার তালিকার সাথে যুক্ত একজন ভোটার কেবল সেই ভোটকেন্দ্রেই ভোট দিতে পারবেন, অন্য কোথাও নয়।”
নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে টেকনিক্যাল টিম এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনার পর আগামী তিন মাসের মধ্যে এই “দীর্ঘদিন ধরে চলমান সমস্যা” সমাধান করা হবে, যার মাধ্যমে বিদ্যমান ডুপ্লিকেট EPIC নম্বরধারী ভোটারদের জন্য একটি ” আলাদা জাতীয় Epic Number ” নিশ্চিত করা হবে। নতুন ব্যবস্থা ভবিষ্যতের ভোটারদের জন্যও প্রযোজ্য হবে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভারতের ভোটার তালিকা হল বিশ্বজুড়ে ভোটারদের বৃহত্তম ডাটাবেস যেখানে ৯৯ কোটিরও বেশি নাম নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন প্যানেলের এই পদক্ষেপ “কেলেঙ্কারি” ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আরেকটি “চোখের ধুলো” দেওয়ার ঘটনা। গোখলের প্রশ্ন, ২০০০ সাল থেকে যদি এই বিষয়টি ঘটছে, তাহলে কমিশন কেন এই বিষয়টিকে উপেক্ষা করেছে?
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/