নিউজ পোল ব্যুরো: মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) দাদাগিরির এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা(Malda Incident) সামনে এসেছে। অভিযোগ, ঘুষের টাকা (Bribe) নিয়ে বিবাদ হওয়ার কারণে এক লরি চালককে (Truck Driver) ক্যাম্পের ভেতরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এই নৃশংস ঘটনার ভিডিও (Viral Video) ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হয়েছে। আক্রান্ত চালক থানায় লিখিত অভিযোগ (Written Complaint) দায়ের করেছেন, যদিও এখনো পর্যন্ত পুলিশের (Police) কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:- Malda: একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন মা
অভিযোগকারী লরি চালক রুহুল আলীর দাবি, তিনি উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ডালখোলা থেকে গরু বোঝাই লরি নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরের মারাডান্গী এলাকায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার (Harishchandrapur Police Station) রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের (Rashidabad Gram Panchayat) ভেলা বাড়ি নাকা চেকপোস্টে (Naka Checkpost) তাঁর লরিটি আটকে দেয় সিভিক ভলেন্টিয়াররা। এরপর তাঁরা ওই চালকের কাছে ১,০০০ টাকা দাবি করেন। রুহুল আলী(Rahul Ali) জানান, তিনি ৫০০ টাকা দিতে রাজি হয়েছিলেন, তবে তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়াররা। অভিযোগ, তাঁকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে ক্যাম্পের(camp) ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনার(Malda Incident) একটি ভিডিও স্থানীয়দের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media) ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত লরি চালক(Lorry Driver) তিনজন সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের এই ধরনের কার্যকলাপ প্রশাসনের (Administration) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, এই ধরনের ঘুষের প্রবণতা বন্ধ করতে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের(Civic Volunteer) মূল দায়িত্ব পুলিশের সহায়ক হিসাবে কাজ করা, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার(Malda Incident) পর প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের চোখের সামনে কীভাবে এই ধরনের বেআইনি কাজ অবাধে চলছে? এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তদের(Suspects) কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসন কি এবার এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে, নাকি এই ঘটনাও অন্যান্য অভিযোগের মতো ধামাচাপা পড়ে যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর এখন সময়ই দেবে।