নিউজ পোল ব্যুরো: নারী শক্তির জাগরণ এবং আত্মরক্ষার গুরুত্বকে তুলে ধরতে সম্প্রতি সল্টলেকের ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে (EZCC) অনুষ্ঠিত হল এক বিশেষ অনুষ্ঠান—বঙ্গ নারী শক্তি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) মহিলা মোর্চার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে নারী সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম চালিকা শক্তি। নারী নিজেই শক্তির প্রতীক—একথা প্রমাণ করেছেন বহু মহিয়সী নারীরা, যারা যুগে যুগে নিজেদের কর্মগুণে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে পশ্চিমবঙ্গে নারীদের সেই শক্তিকে(Women Empowerment) খর্ব করার এক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের সম্মান ও নিরাপত্তা বারবার হুমকির মুখে পড়ছে।
আরও পড়ুন:- Indrani Chakraborty: হারানো স্মৃতির গল্প ‘ছাদ’

অনুষ্ঠানে ফাল্গুনী পাত্র বলেন, “নারীদের নিরাপত্তার প্রতি উদাসীন মানসিকতা বদলানোর সময় এসেছে। নারীরা যদি নিজেদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখেন (Self-Defense Training), তবে তারা সহজেই সমাজের অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবেন।” তিনি আরো জানান, নারী নির্যাতন রোধে বিজেপি মহিলা মোর্চা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে(Women Empowerment)।বর্তমান সমাজে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে অপরাধীদের চিহ্নিত করা (Identify the Offenders) এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য। এই প্রসঙ্গে ফাল্গুনী পাত্র জানান, “নারীদের বিরুদ্ধে অন্যায়কে রোধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক আইন প্রণয়ন করেছে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে নারী সুরক্ষা আইন (Women Safety Laws) এবং সেল্ফ ডিফেন্স প্রশিক্ষণ (Self-Defense Training for Women)-এর উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান।
নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/

বিজেপি মহিলা মোর্চা পশ্চিমবঙ্গে নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে এগোবে বলে ঘোষণা করেছে। ফাল্গুনী পাত্র জানিয়েছেন, “নারীদের সম্মান ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আমাদের লড়াই চলবে। আমরা নারীদের ক্ষমতায়ন (Women Empowerment) নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। নারীরা যদি আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হন(Women Empowerment), তবে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। নারীদের স্বনির্ভরতার উপর গুরুত্ব দিয়ে, আইন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের আত্মরক্ষা নিশ্চিত করাই বঙ্গ নারী শক্তি উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এটি শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং নারীদের সুরক্ষা ও সম্মান প্রতিষ্ঠার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।