Mamata Banerjee: হার না মানা জেদেই বাংলার কুর্সি দখল, নারী দিবসে ইতিহাস তুলে ধরলেন কুণাল

কলকাতা রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আরো একবার মমতা-স্তুতি করতে দেখা গেল কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীদের স্বাধীনচেতা চিন্তাধারার পাশাপাশি তাদের আটপৌরে সাদামাটা জীবনকেও উদযাপন করার দিন আজ। একইভাবে নারীর লড়াই আর তার অনমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিকেও উদযাপন করার দিন। তাই এই বিশেষ দিনে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিশেষভাবে সম্মান জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)

আরও পড়ুনঃ BSF: গরু পাচারকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত জওয়ান, পাল্টা গুলিতে মৃত ১

বাংলায় নারী দিবস উদযাপিত হবে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিয়ে কোনো কথা হবে না তা তো হতে পারে না। কালীঘাটের এক সামান্য মধ্যবিত্ত ঘর থেকে উঠে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার পথটা মোটেই সহজ ছিল না। এদিন সামাজিক মাধ্যমে পর পর পোস্টে সেই যাত্রাপথই ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন কুণাল। পাশাপাশি মমতার সঙ্গে প্রথম আলাপ কীভাবে হয়, সেই স্মৃতিও ভাগ করে নিয়েছেন কুণাল।

TMC

নয়ের দশকে ছাত্র পরিষদে থাকাকালীন মমতার সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়েছিল বলে জানান কুণাল। তিনি আরো লেখেন, “শাসকের হামলায় মৃত্যুমুখ থেকে বারবার ফিরে এসে টালির চালের ঘরের বাসিন্দা অগ্নিকন্যার সেই শাসকদেরই হারিয়ে বাংলার সিংহাসনে বসার যাত্রাপথটাও নারীশক্তির জয়ধ্বনির আত্মবিশ্বাসী ধারাভাষ্য। রক্তাক্ত হাজরা রোড থেকে মহাকরণের অলিন্দে পৌঁছনোর কালচক্রে ধ্বনিত হয় মহালয়ার আবাহনীর সুর।”

নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/

হার না মানা জেদ এবং অনমনীয় মনোভাবের জন্য মমতাকে (Mamata Banerjee) বলা হয়, অগ্নিকন্যা। কুণাল ঘোষ সে প্রসঙ্গে লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ‘অগ্নিকন্যা’ শব্দটি প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন কলকাতার 37 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলর ডাঃ কে পি ঘোষ। রবীন্দ্র সরোবরে মমতাদির নেতৃত্বে সবুজ বাঁচাও আন্দোলনে সামিল নাগরিক সমাজের কর্মসূচি থেকেই বর্ষীয়ান ডাঃ ঘোষ ওই বিশেষণটি প্রথম প্রয়োগ করেন। তিনি বলেছিলেন,” মমতাই আজ বামপন্থার প্রকৃত কন্ঠ।” এরপর কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে ‘অগ্নিকন্যা’ শব্দটি প্রয়োগ করেন এবং এটি বহুলপ্রচারিত হয়। এই অবস্থানের জন্য ডাঃ ঘোষকে সিপিএম বহু লাঞ্ছনা করেছিল। তিনি জগৎ সিনেমার পাশে থাকতেন। নিপাট ভদ্রলোক। ছিলেন জনপ্রিয় চিকিৎসক।

এভাবেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সামাজিক মাধ্যমে পরপর চারটি পোস্টের মাধ্যমে বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর জীবন সংগ্রাম তুলে ধরে তাকে বিশেষ সম্মাননা জ্ঞাপন করলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। লেখেন, “রাজনীতির সমর্থন-বিরোধিতা, ভালোমন্দের ঊর্ধ্বে উঠে সৌরজগতে অনিঃশেষ বিচ্ছুরণ ঘটে মাতৃশক্তির প্রবল ধার এবং ভারের। হাজার প্রতিকূলতা অতিক্রমের পাহাড় ভাঙার গান প্রতিবাদের আগুনে মঞ্চ থেকে হয়ে ওঠে সৃষ্টিশীলতার পাহাড়ি ঝর্ণা; সেই শক্তির প্রতীক হয়ে নারী দিবসের মুখ হয়ে থাকুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো দলের নেত্রী হিসেবে নন, একা একটি প্রতিষ্ঠান, একটি ব্র্যান্ড হয়ে উঠে নারীসংগ্রামের স্বতন্ত্র এক মহাকাব্য লেখার জন্যে, যার পাতায় পাতায় প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক বা খনির শ্রমিক বা সাধারণ পরিবারের কন্যাদের লড়াইয়ের গল্প আর সেই লড়াইকে জয় করার শপথমন্ত্র।”