নিউজ পোল ব্যুরো: মণিপুরে (Manipur) জাতিগত সংঘর্ষে প্রায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ঘরছাড়া হয়েছিল বহু মানুষ। ২২ মাস ধরে মৈইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের চলাচলের উপর জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) নির্দেশ দিয়েছিলেন আজ শনিবার থেকে রাজ্যের সমস্ত রাস্তায় মুক্ত চলাচলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে শনিবার থেকেই ফের শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। কুকি উপজাতিদের বিক্ষোভের (Kuki Protesters) মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর এসকর্টে থাকা সাধারণ বাসগুলি আজ মণিপুরের বিভিন্ন জেলায় পুনরায় চলাচল শুরু করেছে। কুকি সম্প্রদায় যারা রাজ্য থেকে পৃথক প্রশাসনের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবাধে চলাচল করতে চায় না বলেই দাবি জানিয়েছে।
শনিবার থেকেই মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় অবরোধের মধ্য দিয়ে মাইন-প্রতিরোধী যানবাহন চলাচলের দৃশ্য সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওগুলিতে দেখা গিয়েছে, ইম্ফল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় অবরোধের মধ্য দিয়ে মাইন-প্রতিরোধকারী যানবাহন চলাচল করছে। অন্যদিকে হাইওয়ে অবরোধের চেষ্টা করা কুকি উপজাতির বেশ কয়েকজন মহিলা নিরাপত্তা বাহিনীর লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও মণিপুরের বেশ কয়েকটি কুকি-অধ্যুষিত এলাকা থেকে সংঘর্ষের খবর মিলেছে। স্থানীয়দের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা যানবাহনে পাথর ছুঁড়ে মারছে, রাস্তা খুঁড়ছে, টায়ার পোড়াচ্ছে এবং ব্যারিকেড তৈরি করছে। কেউ কেউ নিরাপত্তা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করছে এবং তাদের পিছনে ফিরে যেতে বলে চিৎকার করছে।(এই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ পোল বাংলা)।
আরও পড়ুনঃ Jhargram News: দলমার দাঁতাল হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কিত চাষিরা
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো, মণিপুরে(Manipur) প্রধান মেইতেই সম্প্রদায় এবং কুকি নামে পরিচিত এক ডজনেরও বেশি স্বতন্ত্র উপজাতি, যারা মণিপুরের কিছু পাহাড়ি অঞ্চলে প্রভাবশালী, তারা ২০২৩ সালের মে মাস থেকে ভূমি অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লড়াই করে আসছে। সহিংসতায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৫০,০০০ জন অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কুকি সম্প্রদায়ের নেতারা, অপারেশন স্থগিতাদেশ (SoO) চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী প্রায় দুই ডজন জঙ্গি গোষ্ঠী এবং তাদের সম্মুখ নাগরিক সংগঠনগুলি মণিপুর জুড়ে সম্প্রদায়গুলিকে অবাধে চলাচলের অনুমতি দেওয়ার আগে কেন্দ্রকে তাদের জন্য একটি পৃথক প্রশাসন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং-এর পদত্যাগের পর মণিপুরের জারি রয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/