International Women’s Day: নারী দিবসে সোনারপুর উত্তরে বিশেষ উদ্যোগ!

জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: নারী, একদিকে সৃষ্টির উৎস, অন্যদিকে মমতার প্রতিচ্ছবি। সমাজ গঠনে নারীর ভূমিকা চিরকালই গুরুত্বপূর্ণ, আর আধুনিক যুগে তা আরও সুপ্রতিষ্ঠিত। কর্মক্ষেত্র থেকে পরিবার, শিক্ষা থেকে রাজনীতি—প্রত্যেক ক্ষেত্রে নারীরা তাঁদের অসাধারণ দক্ষতা ও পরিশ্রমের দ্বারা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই মহান নারী শক্তিকে (Women Empowerment) সম্মান জানাতে ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day) উপলক্ষে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার (Sonarpur Uttar Vidhan Sabha) খেয়াদহ দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত (Kheyadah 2 No. Gram Panchayat) এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করল। এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম (MLA Firdausi Begum) এবং উদ্যোগ নিয়েছিলেন খেয়াদহ দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল প্রধান মিতা নস্কর (Mita Naskar)।

আরও পড়ুন:- Teesta Field Firing Range: ভারতীয় সেনার আধুনিক যুদ্ধ মহড়া

এই বিশেষ দিনে স্থানীয় নারীদের সম্মানিত (Women’s Respect) করা হয়, পাশাপাশি আয়োজন করা হয় বস্ত্র বিতরণ (Clothes Distribution) অনুষ্ঠানের। সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বস্ত্র, যা তাঁদের সম্মান জানানোর একটি ছোট্ট প্রয়াস। শুধুমাত্র উপহার দেওয়া নয়, তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি জানিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও (Cultural Program) আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঙ্গীত, বক্তৃতা এবং নানান পারফরম্যান্স দ্বারা সমৃদ্ধ হয়। অতিথিরা নারীদের ক্ষমতায়ন (Women Empowerment) ও সমাজে তাঁদের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন। নারীদের(International Women’s Day) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি তাঁদের সমানাধিকারের বিষয়েও আলোকপাত করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির (Sonarpur Panchayat Samiti) মৎস্য ও প্রাণী দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ প্রশান্ত বিশ্বাস (Prashanta Biswas), বরুণ সর্দার (Barun Sardar), জেলা পরিষদের (District Council) সদস্য নীলিমা মন্ডল (Nilima Mondal), খেয়াদহ এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পাপিয়া নস্কর (Papia Naskar) সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/

তারা তাদের বক্তব্যে নারীদের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন, নারী শিক্ষার (Women Education), অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার (Financial Independence), এবং সামাজিক সুরক্ষার (Social Security) গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এই ধরনের উদ্যোগ নারীদের আরও আত্মবিশ্বাসী ও স্বনির্ভর হতে অনুপ্রাণিত করে। নারী দিবস শুধুমাত্র একটি দিন নয়, এটি নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, স্বীকৃতি ও সমানাধিকারের বার্তা বহন করে। সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীদের আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই ধরনের উদ্যোগ আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই বিশেষ দিনটি(International Women’s Day) নারীদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি সমাজে তাদের অধিকারের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর একটি সুযোগ। এমন উদ্যোগই সমাজকে আরও সাম্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।