YouTube: ইউটিউবের কঠোর স্ট্রাইক সিস্টেম! ১টি ভুলেই চ্যানেল ব্যান!

breakingnews দেশ প্রযুক্তি

নিউজ পোল ব্যুরো: ইউটিউব (YouTube) ক্রমশই তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন (Community Guidelines) কঠোর করে তুলছে। যারা নীতি লঙ্ঘন করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে। ২০২৪ সালের শেষ তিন মাসে, সংস্থাটি তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রায় ২৯ লক্ষ ভিডিও সরিয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র ভিডিও নয়, ইউটিউব একই সময়ে ৪৮ লক্ষেরও বেশি চ্যানেল নিষ্ক্রিয় করেছে এবং ১৩০ কোটিরও বেশি কমেন্ট মুছে দিয়েছে। মূলত ভুয়া তথ্য (Misinformation), প্রতারণামূলক কনটেন্ট (Fraudulent Content), সাইবার হ্যারাসমেন্ট (Cyber Harassment), শিশু নিরাপত্তা (Child Safety) এবং হিংসাত্মক কনটেন্ট (Violent Content) ছড়িয়ে পড়া রোধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্থার আধিকারিকদের মতে, এই বিপুল সংখ্যক ভিডিও ও চ্যানেল চিহ্নিত করতে ইউটিউবের অটোমেটেড কনটেন্ট মডারেশন টুল (Automated Content Moderation Tool) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৯৯.৭% বিধি লঙ্ঘনকারী ভিডিও চিহ্নিত করা হয়েছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম থেকে সমস্যাজনক কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন:- International Women’s Day: মহিলাদের হাতে গেল প্রধানমন্ত্রী মোদীর সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্ব

গ্লোবাল স্কেলে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সাল থেকে ইউটিউবের(YouTube) সবচেয়ে বেশি কনটেন্ট ডিলিট করার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারত (India)। ২০২৪ সালের শেষ ত্রৈমাসিকেও এই প্রবণতা বজায় ছিল। ভারতের পরেই রয়েছে ব্রাজিল (Brazil), যেখানে ইউটিউব বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিডিও ও চ্যানেল নিষ্ক্রিয় করেছে।

ইউটিউব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মূলত পাঁচটি প্রধান কারণে ভিডিও ও চ্যানেল সরানো হয়েছে—
১) প্রতারণামূলক ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট (Fraud & Misinformation) – ৮১.৭%
২) সাইবার বুলিং ও হেনস্থা (Cyberbullying & Harassment) – ৬.৬%
৩) শিশুদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন (Child Safety Violation) – ৫.৯%
৪) হিংসাত্মক কনটেন্ট (Violent Content) – ৩.৭%
৫) অন্যান্য নীতি লঙ্ঘনকারী কনটেন্ট – বাকি শতাংশ
এই ধরনের কনটেন্ট ইউটিউবের নীতির (YouTube Policy) পরিপন্থী, তাই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ভিডিও ও চ্যানেল মুছে ফেলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:- Sukanta Majumdar: পর্তুগাল থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ ফিরল শান্তিপুরে

আগামী ১৯ মার্চ ২০২৫ (March 19, 2025) থেকে ইউটিউব তাদের নীতিমালায় আরও পরিবর্তন আনতে চলেছে। বিশেষ করে অনলাইন গ্যাম্বলিং (Online Gambling), প্রতারণামূলক প্রচারণা (Scam Promotion), স্প্যাম (Spam) এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষা (Child Protection Policy) সংক্রান্ত নিয়ম আরও কঠোর হবে। তবে শুধুমাত্র গ্যাম্বলিং কনটেন্টের জন্যই নয়, সমস্ত ক্রিয়েটরকেই (YouTube Creators) নতুন নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেসব কনটেন্ট ইউটিউবের নতুন নীতির পরিপন্থী হবে, সেগুলি হয় মনিটাইজেশন (Monetization) বন্ধ করা হবে অথবা প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলা হবে।

আরও পড়ুন:- Smart Phone: ফোন বিক্রি করবেন? কোড দেখে নিশ্চিত হন দাম!

নতুন নীতির কারণে ইউটিউব(YouTube) কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের (Content Creators) ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। যেমন—
১) স্ট্রাইক সিস্টেম (Strike System) আরও কঠোর করা হবে।
২) কপিরাইট ও কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক (Copyright & Community Strike) পেলে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৩) নির্দিষ্ট কিছু বিষয়বস্তু (Sensitive Content) নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
৪) মনিটাইজেশন পলিসি আরও কঠিন হবে, ফলে অনৈতিক উপায়ে আয় করা কঠিন হয়ে পড়বে।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/

নতুন নিয়মের ফলে ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম আরও নিরাপদ (Safe Platform) এবং বিশ্বাসযোগ্য কনটেন্টের (Authentic Content) জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠবে। কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য এটি এক ধরণের চ্যালেঞ্জ হতে পারে। যারা নীতি মেনে কাজ করছেন, তারা সমস্যায় পড়বেন না। তবে যারা নিয়ম ভাঙছেন, তাদের কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে। ইউটিউব তাদের প্ল্যাটফর্মকে আরও সুস্থ ও নিরাপদ (Safe & Secure) করে তুলতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভুয়া খবর (Fake News), স্প্যাম (Spam), হেনস্থা (Harassment) এবং হিংসাত্মক কনটেন্টের (Violent Content) বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার হয়েছে। আগামী দিনে ইউটিউব আরও কড়া অবস্থান নেবে, যা কনটেন্ট নির্মাতাদের আরও সতর্ক হতে বাধ্য করবে। তাই যারা ইউটিউবে কাজ করছেন, তাদের অবশ্যই আপডেটেড নীতি মেনে চলা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে তাদের চ্যানেল কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়।