নিউজ পোল ব্যুরো: সোমবার ফের উত্তাল রাজ্য বিধানসভা। সাসপেন্ড করা হল আরও এক বিজেপি (BJP) বিধায়ককে। সূত্রের খবর, স্পিকারের সঙ্গে বিজেপি বিধায়ক হিরন চট্টোপাধ্যায়ের কথা কাটাকাটি হয় । অন্যদিকে মার্শাল দিয়ে শঙ্কর ঘোষ ওরাওকে বের করতে নির্দেশ দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভায় দ্বিতীয়ার্ধে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি নেতা হিরন আলোচনার অন্য প্রসঙ্গে যাওয়ায় তাঁর বক্তব্য থামিয়ে দেয় স্পিকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইক। এমনটাই অভিযোগ। এই নিয়ে বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে স্নোগান দেন। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও ও শঙ্কর ঘোষকে অধিবেশন থেকে মার্শালকে দিয়ে বার করে দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়েই বিজেপি ওয়াক আউট করে অধিবেশন থেকে। এই বিষয় নিয়ে সুর চড়ান রাজ্যের বিরোধী দলেনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে বলে বিস্ফোরক দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। রাজ্য সরকারের নির্দেশেই স্পিকার বিজেপির কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

বিজেপির (BJP) অভিযোগ, ‘একের পর এক বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। বিরোধীদের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুললেই মার্শাল ডেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। বিধানসভায় বিরোধীদের কথা বলার অধিকার নেই।” সাসপেন্ড করা হয়, ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনকে। সূত্রের খবর, এদিন বিধানসভার হিরণ বাজেট অনুমোদনের নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময়েই চলে কিছু কথাবার্তা। কথা হতে হতেই শুরু হয় স্পিকার ও হিরণের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তার পরেই নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিজেপি বিধায়কের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো চলতি অধিবেশনে সাসপেন্ড হয়েছেন বিরোধী দলেনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যেই ফের আরও এক বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হল। তবে দীপককে গোটা অধিবেশন নয় কেবল সোমবারের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/