Shantipur Incident: শান্তিপুরে কিশোরের উপর নির্মম অত্যাচার

জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: শান্তিপুরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার (Shantipur Incident) সাক্ষী থাকল স্থানীয় বাসিন্দারা। এক উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষার্থীকে বাড়িতে ডেকে এনে লোহার রড (Iron Rod) দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই পরীক্ষার্থীকে শান্তিপুর হাসপাতালে (Shantipur Hospital) ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ (Police) ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। সূত্রাগড় (Sutragarh) এলাকার এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে রবিবার সন্ধ্যায় ফোন করে ঘোড়ালিয়া (Ghoralia) এলাকায় নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায় তার এক বান্ধবী (Friend)। সরল বিশ্বাসে সেখানে গেলে, আচমকাই তার উপর চড়াও হন বান্ধবীর বাবা সুবীর বিশ্বাস (Subir Biswas)। অভিযোগ, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ওই ছাত্রকে।

আরও পড়ুন:- Leopard Rescue: বনবিভাগের অবিশ্বাস্য অভিযানে প্রাণ বাঁচল চিতাবাঘের

প্রচণ্ড আঘাতে মাথা ফেটে যায় ওই কিশোরের। তার আর্তনাদ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে (Shantipur Incident) ছুটে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করে দ্রুত শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকেরা জানান, মাথায় গভীর চোট রয়েছে এবং যথাযথ চিকিৎসার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত ছাত্রের পরিবার ঘটনার পর পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে সুবীর বিশ্বাস আরও একবার হুমকি (Threat) দেন। এদিকে, পরিবারের পক্ষ থেকে শান্তিপুর থানায় (Shantipur Police Station) অভিযুক্তের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে অভিযুক্ত সুবীর বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code – IPC) বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১২৬(২)/১১৫(২)/১১৭(২)/১০৯/৩৫১(২)(৩) বিএনএস (BNS Act) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং সোমবার তাকে আদালতে (Court) পেশ করা হবে।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/

এই ঘটনাকে (Shantipur Incident) কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। আক্রান্ত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন এবং পুলিশি নিরাপত্তার (Police Protection) আবেদন জানিয়েছেন। এই ধরনের ঘটনা কিশোর-কিশোরীদের মানসিক এবং শারীরিক সুরক্ষার (Mental and Physical Safety) প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে। প্রশাসনের (Administration) তরফে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে, কেন একজন কিশোরকে এমন নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করা হলো, তার পেছনে প্রকৃত কারণ কী—সেই রহস্যের জট খোলার জন্য তদন্ত চলছে।