নিউজ পোল ব্যুরো: ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের একাধিক জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে চরম বিদ্যুৎ সমস্যার (Power Cut Issue) সম্মুখীন হচ্ছে গ্রামবাসীরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, কখনও কখনও ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ থাকে না। অবশেষে ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার সকাল থেকে রাজ্য সড়ক অবরোধ করল চৈনিশোল, পাঁচরুখি, আমদাপাল, বড় আসনবনী, রামচন্দ্রপুর, গোয়ালমারা সহ প্রায় ১০-১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: Road Accident: ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত যুবক

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কখনও এক-দুই ঘণ্টা, কখনও আবার পুরো রাত জুড়ে বিদ্যুৎ থাকে না। বিশেষ করে বর্ষাকালে সমস্যাটি আরও প্রকট হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, “বাড়িতে ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধ সদস্যরা আছেন, গরমের মধ্যে এতক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকলে দম বন্ধ হয়ে আসে। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ না থাকলে পানীয় জলের (Drinking Water Crisis) সমস্যাও দেখা দেয়, কারণ বৈদ্যুতিক মোটর বন্ধ থাকায় টিউবওয়েল বা সাবমারসিবল পাম্প (Submersible Pump) কাজ করে না।”

এই সমস্যার কথা একাধিকবার বিদ্যুৎ দপ্তরে (Electricity Department) জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো স্থায়ী সমাধান করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই শনিবার সকালে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় গ্রামবাসীদের (Jhargram)। বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে তাঁরা চৈনিশোল বাসস্ট্যান্ডে (Chainishol Bus Stand) পথ অবরোধ করেন। রাজ্য সড়কে (State Highway) যান চলাচল ব্যাহত হয়। এই পথ অবরোধের ফলে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যানবাহন থমকে যায়, যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। খবর পেয়ে বেলিয়াবেড়া থানার (Beliyabera Police Station) ওসি সুদীপ পালোধী ঘটনাস্থলে আসেন এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রশাসনের তরফ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তাঁর আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত স্থানীয়রা পথ অবরোধ তুলে নেন।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/
এলাকার মানুষের দাবি, বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্বল ট্রান্সফরমার, পুরনো বৈদ্যুতিক তার ও অপর্যাপ্ত সাবস্টেশন (Substation) এই সমস্যার মূল কারণ বলে মনে করছেন অনেকেই। শুধু বিদ্যুৎ বিভ্রাট নয়, ঝড়-বৃষ্টির সময় ইলেকট্রিক খুঁটি ও তার ছিঁড়ে পড়ার ঘটনাও বারবার ঘটছে। সাধারণ মানুষ চান, প্রতিবার আশ্বাস নয়, এবার যেন বাস্তবিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সমস্যার স্থায়ী সমাধান ছাড়া এই ধরণের আন্দোলন যে আরও ঘটবে, তা আগেভাগেই বুঝে নেওয়া উচিত প্রশাসনের। বিদ্যুৎ হল মৌলিক পরিষেবা (Basic Utility Service), আর সেটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে ভুগতে হলে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবেই।