Shreyas Iyer: শ্রেয়সের ব্যাটে বঞ্চনার জবাব, গুজরাট বধ ১১ রানে

আইপিএল ক্রিকেট ক্রীড়া

শুভম দে: বোর্ডের (BCCI) বার্ষিক চুক্তি (Annual Contract) থেকে বাদ পড়েছেন। আইপিএল জয়ী (IPL 2024 Champion) অধিনায়ক হয়েও ফ্র্যাঞ্চাইজি ধরে রাখেনি তাঁকে। তারপরেও জ্বলে উঠল শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) ব্যাট। নতুন দলের দায়িত্ব নিয়ে অভিষেকেই পৌঁছে গেলেন শতরানের দোরগোড়ায়। তারপরেও দলের স্বার্থে সম্পূর্ণ করলেন না সেঞ্চুরি। থামলেন অপরাজিত ৯৭ রানেই। আর দলকে এনে দিলেন ১১ রানে জয়। ঘরের মাঠে গুজরাট টাইটান্স (GT) হারল পাঞ্জাব কিংসের (PBKS) কাছে। কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) দেখছে কি?

আর‌ও পড়ুন: India vs Bangladesh Football: ছন্নছাড়া ফুটবলে পয়েন্ট নষ্ট সুনীলদের

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ছন্দে ছিলেন শ্রেয়স (Shreyas Iyer)। প্রীতি জিনতার দলের হয়েও যা বজায় রাখলেন এই মুহূর্তে ভারতের অন্যতম সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। নয়টি ওভার বাউন্ডারি ও পাঁচটি বাউন্ডারি দিয়ে সাজালেন ৪২ বলে অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংস। মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে পাঞ্জাব কিংস। দিল্লির তরুণ ব্যাটার প্রিয়ানশ আর্য জাত চেনালেন আইপিএল অভিষেকে। মাত্র তিন রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় তাঁর। ২৩ বলে ৪৭ রান করে রশিদ খানের শিকার হন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন আফগান স্পিনার (১২২ ম্যাচ)।

পাঞ্জাবকে প্রায় একার হাতেই টানেন শ্রেয়স (Shreyas Iyer)। মিডল অর্ডারে যোগ্য সঙ্গ পাননি। তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের আউটটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পরপর দুই বলে প্রথমে আফগান অলরাউন্ডার আজমাতুল্লাহকে এবং পরের বলে শূন্য রানে অজি অলরাউন্ডারকে আউট করেন গুজরাটের সাই কিশোর। কিন্তু পরে দেখা যায় আউট ছিলেন না ম্যড ম্যাক্স। যদিও রিভিউ না নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তবে ম্যাক্সি ফিরলেও শেষের ওভারগুলিতে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকেন শশাঙ্ক সিং। ১৬ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষে মহম্মদ সিরাজের ওভার থেকে ২৩ রান তোলে পাঞ্জাব। শেষ ওভারে একটিও বল খেলার সুযোগ পাননি ৯৭ -এ থাকা পাঞ্জাব অধিনায়ক।

ইনিংস শেষে শশাঙ্ক জানান শ্রেয়স‌ই (Shreyas Iyer) তাঁকে চালিয়ে খেলতে বলেছিলেন। তাঁর সেঞ্চুরির কথা না ভেবে শশাঙ্ককেই স্ট্রাইক রাখতে বলেন প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ক। তাঁরা দুজনে মিলেই ২৪৩ রান তোলেন বোর্ডে। গুজরাটের হয়ে তিনটি উইকেট নেন সাই কিশোর। ৪ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি মহম্মদ সিরাজ। ভারতীয় দলে ফেরা ক্রমশ কঠিন হচ্ছে তাঁর জন্য।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/

২৪৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি শুভমন গিলের দল। তিনি এবং সাই কিশোর মিলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৬১ রান। পাওয়ার প্লের শেষ বলে ১৪ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যান গিল। ভারতীয় ওপেনারকে আউট করে সফলতা এনে দেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর ৮৪ রানের জুটি গড়েন সাঁই সুদর্শন এবং জস বাটলার। ৪১ বলে ৭৪ রান করেন তামিলনাড়ুর এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এবং নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এসে প্রথম ম্যাচে ৩৩ বলে ৫৪ করেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেরফানে রাদারফোর্ড‌ও চালিয়ে খেলেন (২৮ বলে ৪৬)। কিন্তু তাঁকে আটকে রাখলেন পাঞ্জাবের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার বিজয় কুমার বৈশাখ। বৈশাখের ওয়াইড ইয়র্কারে ব্যাটে বলে লাগাতে পারলেন না গুজরাটের ব্যাটাররা। তাল মিলিয়ে নিয়ন্ত্রিত বল করে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো জেনেসেন‌ও। ১৫, ১৬ এবং ১৭ ওভারে আসে মাত্র যথাক্রমে ৫,৮ এবং ৫ রান। সেখানেই ম্যাচ হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় গুজরাটের। পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রানে শেষ হয় গুজরাটের ইনিংস। পাঞ্জাব জয়ী হয় ১১ রানে। তাদের হয়ে ২টি উইকেট নেন অর্শদীপ সিং।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাঞ্জাব কিংস ২৪৩/৫ (২০)

শ্রেয়স আইয়ার ৯৭(৪২)*, প্রিয়ানশ আর্য ৪৭(২৩)

সাই কিশোর ৩/৩০

গুজরাট টাইটান্স ২৩২/৫ (২০)

সাই সুদর্শন ৭৪(৪১), জস বাটলার ৫৪(৩৩)

অর্শদীপ সিং ২/৩৬ (৪)

পাঞ্জাব কিংস জয়ী ১১ রানে।