Bizarre: মস্তিস্ক ছাড়াই চলে জীবন এই পাঁচ প্রাণীর

লাইফস্টাইল

রিতিকা বিশ্বাস, কলকাতা: “বুদ্ধি তো হাঁটুতে থাকে” এই প্রবাদ বাক্য আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি। আমাদের সাধারণ ধারণা, মস্তিষ্কের (Brain) কাজ আমাদের চিন্তা-ভাবনা, আচরণ এবং শারীরিক কার্যকলাপ (Physical activity) নিয়ন্ত্রণ করা। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাণী (Bizarre) রয়েছে যারা বিশেষ ধরনের স্নায়ুতন্ত্র বা একাধিক মস্তিষ্ক দিয়ে তাদের দৈনন্দিন কাজ (Daily tasks) পরিচালনা করে। কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবেছেন এমন প্রাণী (Bizarre) সম্পর্কে যাদের মস্তিষ্ক পায়ে বা শরীরের অন্য অংশে রয়েছে? শুনতে অবাক লাগলেও, এটি একেবারেই বাস্তব। এমন কিছু প্রাণী (Bizarre) আছে যারা আমাদের ধারণার বাইরে গিয়ে মস্তিষ্ক বা স্নায়ু ব্যবস্থার বিচিত্র ব্যবহার করে। জেনে নিন সেই প্রাণীদের নাম –

আরও পড়ুন: Snake in Icecream Bar: মিষ্টির বদলে বিষ?

১.অক্টোপাস – পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় প্রাণী অক্টোপাস (Octopus)। এর আটটি হাত রয়েছে, আর প্রতিটি হাতে আছে নিজস্ব একটি মস্তিষ্ক। যদিও এর মাথায় একটি কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক (Central brain) থাকে। কিন্তু এই আটটি হাত এতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম যে তাদেরকে মূল মস্তিষ্কের নির্দেশনা ছাড়াও কাজ করতে দেখা যায়। এটি এক ধরনের “বিকেন্দ্রীভূত স্নায়ুতন্ত্রের” উদাহরণ, যেখানে হাতগুলো নিজ নিজ কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারে।

২.জোঁক – জোঁক (Leech) সাধারণত তাদের রক্তচোষার জন্য পরিচিত কিন্তু এর স্নায়ু ব্যবস্থাও একেবারে অদ্ভুত। জোঁকের শরীরে ৩২টি স্নায়ু গ্যাংলিয়া (Nerve ganglia) রয়েছে, যা পুরো শরীরের গতি এবং কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে কোনো কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক (Central brain) নেই, তবে এই গ্যাংলিয়া গুলোই তাদের শারীরিক এবং স্নায়ুতান্ত্রিক কাজগুলো পরিচালনা করে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

৩.স্টারফিশ – সাধারণত স্টারফিশের (Starfish) মস্তিষ্ক থাকে না, তবে তার শরীরের চারপাশে একটি স্নায়ু বলয় (Nerve ring) থাকে। প্রতিটি হাতের মুঠে একটি স্নায়ু জাল (Neural network) থাকে যা তাকে চারপাশের পরিস্থিতি অনুভব করতে সাহায্য করে। এর অর্থ, স্টারফিশ পুরোপুরি বিকেন্দ্রীকৃত স্নায়ু ব্যবস্থার অধিকারী।

৪.কাটলফিশ – কাটলফিশের (Cuttlefish) একটি কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক রয়েছে, তবে তার শরীরে অতিরিক্ত স্নায়ু ক্লাস্টারও (Nerve cluster) রয়েছে যা তাকে রঙ পরিবর্তন করতে সহায়ক হয়। এটি ক্রোমাটোফোর নামে পরিচিত, যা কাটলফিশের ত্বকে রঙের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম। এটির স্নায়ু ব্যবস্থা তাকে অত্যন্ত দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করে।

৫.মাকড়সা – মাকড়সার (Spider) স্নায়ু ব্যবস্থা অনেকটা বিস্তৃত। বিশেষ করে ট্যারান্টুলার (Tarantula) মতো বড় মাকড়সাদের পায়ে একটি স্নায়ু গ্যাংলিয়া (Nerve ganglia) থাকে, যা তাদের চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে তৎক্ষণাৎ সচেতন করে তোলে। এটি তাদের শিকার ধরার দক্ষতা এবং বিপদ সনাক্তকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

এভাবে, পৃথিবীতে (World) এমন কিছু প্রাণী রয়েছে যারা আমাদের ধারণা অনুযায়ী মস্তিষ্কের (Brain) জায়গা এবং কাজের ব্যবহার করে না। এই প্রাণীগুলি স্নায়ুতন্ত্রের বিকেন্দ্রীকৃত ব্যবস্থা ব্যবহার করে তাদের জীবনযাত্রা চালিয়ে নেয়, যা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক এবং অনুসন্ধানযোগ্য।