নিউজ পোল ব্যুরো: ৬ এপ্রিল ২০২৫ অর্থাৎ রবিবার (Sunday) রামনবমী (Ram Navami 2025)। একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব যা ভারতের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ঐক্যের প্রতীক। এদিনে বিভিন্ন জায়গায় রামনবমী (Ram Navami 2025) উপলক্ষে মিছিল, শোভাযাত্রা এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কলকাতা (Kolkata) এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায়, রাজনীতি এবং ধর্মীয় উৎসবের মেলবন্ধনে এবারের রামনবমী (Ram Navami 2025) যেন হয়ে উঠেছে এক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বড় মাধ্যম। বিজেপি-তৃণমূলের (BJP-TMC) সমর্থকরা একে অপরের বিপরীতে পথে নেমে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করছে।
আরও পড়ুন: Siliguri-Ram Navami: রাম নবমীতে শিলিগুড়ির অনন্য প্রয়াস
কলকাতায় (kolkata) ছোট বড় মিলিয়ে ৮০টির বেশি রামনবমী অনুষ্ঠান ও মিছিলের (Rally) আবেদন জমা পড়েছে। বিশেষত, কাশীপুর ব্রিজ থেকে কাশীপুর রোড, বরানগর বাজার, সিঁথির মোড়, বিটি রোড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিশাল শোভাযাত্রা বের হবে। একদিকে বিজেপির সমর্থকরা রামনবীশক্তির প্রদর্শন করছে। অন্যদিকে তৃণমূলও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায়। এর পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে হেস্টিংস, খিদিরপুর, এন্টালি, বড়বাজারের মতো এলাকা দিয়ে শোভাযাত্রা চলবে।

এছাড়া হাওড়ায় (Howrah) শিবপুর (Shivpur) থেকে মেগা র্যালি (Rally) শুরু হয়ে হাওড়া ময়দানে পৌঁছবে যেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারসহ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। হাইকোর্টের নির্দেশে মিছিলের অনুমতি পাওয়া এই র্যালিতে বিশ্বহিন্দু পরিষদও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। উত্তরের জেলা ইসলামপুর ও মালদায়ও রামনবমী উপলক্ষে বিশাল র্যালি (Rally) বের হয়েছে, যেখানে পুলিশ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
পুলিশ (Police) কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে, বিশেষ করে বিহার থেকে ইসলামপুরে ঢোকার পথে নাকা তল্লাশি চলছে। অন্যদিকে, মালদায় রামনবী উপলক্ষে বিশ্বহিন্দু পরিষদ আয়োজন করেছে এক বিশাল ধর্মীয় কর্মসূচি। রামনবমী উপলক্ষে হুগলির সিঙ্গুরে রামের মূর্তি নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও, দুর্গাপুরে (Durgapur) কাদারোড মেনগেট এলাকায় রামনবমী শোভাযাত্রায় বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্ণণ ঘড়ুই তার সমর্থকদের সঙ্গে লাঠি খেলা প্রদর্শন করেছেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। দুর্গাপুর পশ্চিমের এই বিধায়ক তার উপস্থিতি এবং ধর্মীয় শক্তির প্রদর্শন করে মিছিলের রূপ নেন, যা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে।