Sajal Ghosh : রাম নবমীতে সশস্ত্র মিছিলের পক্ষে সওয়াল, বিতর্কে বিজেপি নেতা

কলকাতা জেলা রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: আজ রবিবার, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রামনবমী। রামনবমী (Ram Navami 2025) উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শোভাযাত্রা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও অস্ত্র মিছিল ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে। রাম নবমীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সশস্ত্র মিছিলের পক্ষে সওয়াল করলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। রবিবার সকালে হাওড়ার কদমতলা থেকে রামরাজাতলার রাম মন্দির পর্যন্ত একটি রামনবমীর মিছিলে অংশগ্রহণ করেন তিনি। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ (Sajal Ghosh) বলেন, “ধর্ম রক্ষা করতে গেলে কখনো কখনো অস্ত্র হাতে তুলতেই হয়। এটি আমাদের পরম্পরার অঙ্গ। হিন্দু ধর্মের সম্মান রক্ষায় আমাদের দৃঢ় থাকতে হবে।” পাশাপাশি, তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কে কটাক্ষ করে বলেন, “ঈদের দিন হিন্দু ধর্মকে কারা ‘গান্ধা ধর্ম’ বলেছিল? আজ তাদের হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলা সাজে না।” তিনি আরও বলেন, “শান্তিপূর্ণ ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতার মধ্য দিয়ে সারা ভারত ও পশ্চিমবঙ্গে রামনবমী উদযাপিত হবে। তাতে কেউ বাধা দিতে এলে আমরা (Sajal Ghosh) প্রতিরোধ করব।”

আরও পড়ুন:- Ram Navami: রাম নবমী উদযাপনে প্রশাসনিক জটিলতা

উল্লেখ্য, শনিবার হাওড়ার সাঁকরাইলে (Howrah Sankrail) রামনবমীর প্রাক্কালে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা (Ram Navami Armed Rally) বের হয়। ত্রিশূল, তরোয়াল ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র হাতে মিছিল করেন হাজারের বেশি হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এই শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বহু বিজেপি নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে ছিল বিপুল উৎসাহ ও উত্তেজনা। প্রসঙ্গত, শনিবার নদীয়ার রানাঘাট থানার অন্তর্গত ফ্রেন্ডস ক্লাবের মাঠে রামনবমী উদযাপন কমিটিতে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মোথাবাড়ির ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু বিরোধী সরকার পরিচালনা করছেন। তিনি হিন্দু ধর্মকে ‘গান্ধা ধর্ম’ বলে অপমান করেছেন। এই সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে। সকল হিন্দুকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। ফোনে হ্যালো বলবেন না, বলুন ‘জয় শ্রীরাম’। হিন্দুদের সম্মান রক্ষায় সময় এসেছে প্রতিবাদ জানানোর।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, রামনবমীর দিন সারা রাজ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, নদীয়া-সহ একাধিক জেলায় পুলিশ নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।