Nadia Ram Mandir: প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, নদীয়ার এই রাম মন্দির আপনাকে মুগ্ধ করবেই

রাজ্য সংস্কৃতি

শ্যামল নন্দী, বারাসাত: চৈত্র মাসের শুক্লা নবমী তিথি উপলক্ষে সারা দেশে রামনবমী (Ram Navami 2025) পুজো ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হচ্ছে। বিশেষত, বাংলা অঞ্চলে এই পুজো পালনের প্রচলন দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায়, কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস মন্দিরে এবছরও রামনবমীর (Ram Navami 2025) পুজো হয়েছে এক অনন্য ভাব-ভীরুতা এবং ধর্মীয় উদ্দীপনায়। বাংলার এক প্রাচীন মন্দির (Ancient temple), যা ইতিহাসের পটে দীর্ঘ ২৫৬ বছর ধরে জ্বলজ্বল করছে। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের (Krishnaganj, Nadia) এই রামমন্দিরটি (Nadia Ram Mandir) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনকালে ১৭৬২ সালে। তখনকার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই রাম মন্দিরের (Nadia Ram Mandir) প্রতিষ্ঠাতা। কালের পরিক্রমায় এই মন্দির এখন এক অমূল্য ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে, যা শুধুমাত্র স্থানীয় নয় বরং দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তদের আকর্ষণ করে।

আরও পড়ুন: Ram Navami 2025: ধর্ম বনাম রাজনীতি! কোন দিকে ঝুঁকছে বঙ্গ?

মন্দিরের স্থাপত্যও বিশেষ উল্লেখযোগ্য। উঁচু ভিত্তিবেদির ওপর দাঁড়ানো এই মন্দিরের আকার আংশিক দালান আকৃতির। যার উপরে রয়েছে এক বর্গাকার শিখর। মন্দিরের ছাদগুলো সমদ্বিবাহু ট্রাপিজিয়াম আকৃতির। যা চোখে পড়ার মতো এবং গর্ভগৃহের ছাদগুলো ত্রিভুজাকৃতির না হয়ে এক অদ্ভুত ঘন্টা আকৃতির।

রামনবমীর (Ram Navami 2025) দিনে বিশেষভাবে রবিবার (Sunday) বাঙালি পরিহিত রাম ও সীতার পুজো মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় ভক্তদের পাশাপাশি বাইরের অনেক ভক্তও এখানে পুজো দিতে আসেন। বিশেষ দিনটির মাহাত্ম্য বাড়িয়ে তোলে প্রাচীন ইতিহাসের ছোঁয়া। ১৮২৪ সালে বিশপ হেয়ার সাহেব নৌকা করে ঢাকা যাওয়ার পথে এই মন্দিরগুলি দেখতে এসে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তার অভিজ্ঞতা পরে ১৮২৮ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত এক জার্নালে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

আজও রামনবমী উপলক্ষে কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস মন্দিরে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে (Nadia Ram Mandir) মহাসমারোহে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এর গৌরবময় ঐতিহ্য এবং মানুষের বিশ্বাসের শক্তি মন্দিরটিকে আরও উন্নতির পথে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে, এমনটাই ভক্তদের বিশ্বাস। এই মন্দির শুধু ধর্মীয় স্থান নয়, এটি একটি জীবন্ত ইতিহাসের সাক্ষী, যা যুগের পর যুগ ধরে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।