নিউজ পোল ব্যুরো : মার্কিন রাষ্ট্রপতি (US President) ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) একটি সিদ্ধান্তই বদলে দিয়েছে গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক সমীকরণ। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই নয়া শুল্ক নীতি ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। যার জেরে বিশ্বজুড়ে কার্যত শুরু হয়েই গিয়েছে শুল্ক যুদ্ধ (Tariff War)। যে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকাকে (United States of America) সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে চিন (China)। বুধবার আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। পাল্টা হিসাবে মার্কিন পণ্যের ওপরেও অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেইজিং।
আরও পড়ুনঃ Modi-Yunus : সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মোদীর, ইউনূসকে দিলেন বিশেষ বার্তা
সব মিলিয়ে লড়াইটা এবার সেয়ানে সেয়ানে। কেন না, কাঁটা দিয়েই কাঁটা তুলতে চাইছে চিন। তাদের অভিযোগ, নয়া শুল্ক নীতিকেই অর্থনীতির অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন ট্রাম্প। শনিবারই এই অভিযোগ তুলেছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক। তাদের দাবি, এভাবেই চিনের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছে যুক্তরাষ্ট্র। সুতরাং আমেরিকাকে তারা এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পও কিন্তু মুখ বুজে বসে নেই। শনিবার তিনিও একটি পোস্ট করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে তিনি লেখেন, “আমেরিকার চেয়েও চিন বেশি ধাক্কা খেয়েছে। ওরা ধারে কাছেও নেই। আমেরিকার সঙ্গে চিনসহ অনেক দেশই খুব খারাপ আচরণ করেছে। বোবা এবং চাপকানোর খুঁটি হয়ে থেকেছি আমরা। কিন্তু আর নয়।” সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রপতির এহেন মন্তব্যের পর যে বিশ্বজুড়ে শুরু হওয়া শুল্ক যুদ্ধ (Tariff War) এক আলাদা মাত্রা পেয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব চ্যানেলের লিংক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=Ygy6shQubNhWstbr
এই মন্তব্যে মার্কিন-চিন শুল্ক যুদ্ধ (Tariff War) এখন আরও খুল্লাম খুল্লা। কেউ যে কাউকে বিনা যুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনীও দেবে না, সেটা জলের মতই পরিষ্কার। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এক সর্বনাশী খেলা। যার ফল শুধু দুই দেশকেই নয়, ভোগ করতে হবে গোটা বিশ্বকে। উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই একের পর এক এমন সব পদক্ষেপ নিচ্ছেন ট্রাম্প যা দেখে হকচকিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। তিনি বলেই দিয়েছিলেন, যে দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর যত বেশি শুল্ক আরোপ করবে, যুক্তরাষ্ট্রও সেই দেশের পণ্যের ওপর তত শুল্ক চাপাবে। সেই কথাই কাজে করে দেখাচ্ছেন মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান।