নিউজ পোল ব্যুরো: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Teacher Recruitment Corruption) মামলায় ফের বড় পরিবর্তন। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) ৩২ হাজার চাকরি বাতিল (32,000 Job Cancellation) সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুনানি শুরুর আগেই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি সৌমেন সেন (Justice Soumen Sen)। ফলে মামলাটি এখন আর এই ডিভিশন বেঞ্চে চলবে না। সূত্রের খবর, বিচারপতি সৌমেন সেনের সরে দাঁড়ানোর ফলে মামলাটি যাবে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম (Chief Justice T. S. Sivagnanam)-এর কাছে। তিনিই এই বিষয়ে নতুন একটি ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করবেন এবং মামলার পরবর্তী শুনানি সেই বেঞ্চেই হবে।
আরও পড়ুন:- তৃণমূলের ফান্ডে CESC-এর ১৮ কোটি, রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ
এর আগে এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) এক ঐতিহাসিক রায়ে ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary School Teachers) নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করেন। তিনি বলেছিলেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গুরুতর অনিয়ম হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রাথমিকে টেট (TET 2014) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থী। সেই প্রক্রিয়ায় ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন (West Bengal Board of Primary Education) নিয়োগ শুরু করে। ৪২,৯৪৯ জনকে চাকরি দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, এর মধ্যে ৩২ হাজার প্রার্থী ছিলেন প্রশিক্ষণহীন। (Untrained Candidates) নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট বা ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার (State Government) হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় এবং পরবর্তীতে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court of India) পৌঁছায়। শেষে সেই মামলাই বিচারাধীন ছিল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের (Justice Uday Kumar) ডিভিশন বেঞ্চে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
চাকরি বাতিল হওয়ায় রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী (Teachers and Non-teaching Staff) দিশেহারা। ইতিমধ্যেই তাদের চোখের জল বাঁধ মানছে না, পরিবারেও নেমেছে গভীর সংকট। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন এবং সোমবার চাকরি হারানোদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন। বর্তমানে মামলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির নতুন বেঞ্চ গঠনের উপর। কবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে, সেটি এখন প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।