Petrol-Diesel Price: পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নিয়ে বড় ঘোষণা! জানুন বিস্তারিত

দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol-Diesel Price) দাম নিয়ে ধ্বন্দে জনসাধারণ। কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) সিদ্ধান্ত (Decision) অনুযায়ী পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol-Diesel Price) দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনাই বেশি। এই দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা ঘিরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে কারণ কেন্দ্রীয় সরকার এক্সাইজ ডিউটি (Excise Duty) বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol-Diesel Price) উপর এক্সাইজ ডিউটি লিটার পিছু ২ টাকা বাড়ানোর ফলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব দফতরের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আগামী ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: Trump Tariff: ওয়াল স্ট্রিট থেকে এশিয়া! ট্রাম্পের শুল্কে বিশ্ব বাজারে রক্তক্ষরণ

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পেট্রোলের জন্য এক্সাইজ ডিউটি (Excise Duty) লিটার পিছু ১৩ টাকায় পৌঁছেছে। ডিজেলের ক্ষেত্রে এক্সাইজ ডিউটি ১০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্সাইজ ডিউটি বৃদ্ধির খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এক্সাইজ ডিউটি বাড়লেও পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol-Diesel) খুচরা মূল্য পরিবর্তন হবে না।

মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি নিশ্চিত করেছে যে, এক্সাইজ ডিউটি বৃদ্ধির কারণে পেট্রোল-ডিজেলের খুচরা মূল্যে কোনো প্রভাব পড়বে না।” এর মানে, ভোক্তাদের পকেটে কোনো অতিরিক্ত চাপ না পড়েই তারা বর্তমানে উপলব্ধ মূল্যে পেট্রোল ও ডিজেল কিনতে পারবেন।

এই পদক্ষেপটি মূলত দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং তেল বাজারের সমন্বয়ে গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও এক্সাইজ ডিউটির বৃদ্ধি স্থানীয় বাজারে কিছু প্রভাব ফেলতে পারে, তবে সরকারি দফতরের পক্ষ থেকে এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে জ্বালানি খাতের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও নাগরিকদের উপর কোনো আর্থিক চাপ না পড়ে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এটা স্পষ্ট যে, সরকার এবং রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা কোনো অবস্থাতেই সাধারণ জনগণের জন্য অতিরিক্ত বোঝা সৃষ্টি করতে চায় না। তবে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করে মূল্য পরিবর্তন হতে পারে।