নিউজ পোল ব্যুরো: অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra) সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ছবি শেয়ার করে জানালেন জীবনের এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতার কথা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভারতের উপরাষ্ট্রপতি (Vice President of India) জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) ও তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনখড় (Sudesh Dhankhar)-র সঙ্গে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রুক্মিণী মৈত্র। বিশেষ উপলক্ষ? সদ্য ৭৫ দিন পূর্ণ করল রুক্মিণী অভিনীত ছবি ‘বিনোদিনী-একটি নটীর উপাখ্যান’ (Binodini Ekoti Notir Upakhyan)। সেই উপলক্ষেই দিল্লিতে উপরাষ্ট্রপতি ভবন (Vice President’s Residence)-এ গিয়ে ছবিটি দেখান তিনি। রুক্মিণী ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “এটা আমার জীবনের একটি মাইলস্টোন। আমি উপরাষ্ট্রপতিজিকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করতে পারব না, উনি আমাদের ছবিটাকে যেভাবে ভালোবেসেছেন এবং মূল্যায়ন করেছেন, তা অভাবনীয়। বিনোদিনী দাসীর (Binodini Dasi) মতো একজন ঐতিহাসিক নারী-প্রতিভাকে যে সম্মান দেওয়া উচিত, সেটাই ওনার কথায় উঠে এসেছে।”

আরও পড়ুন:- Sudip Mukherjee: স্ত্রী পৃথা কে নিয়ে কেন এমন মন্তব্য সুদীপের?
তিনি (Rukmini Maitra) আরও লেখেন, “সন্ধ্যেটা আরও বিশেষ হয়ে উঠেছিল সুদেশ ম্যামের উপস্থিতিতে। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা আর আশীর্বাদ আমি নিয়ে এসেছি।” ‘বিনোদিনী’ ছবির (Women-centric Bengali film) এই সাফল্য রুক্মিণীর কাছে যেন আশীর্বাদের মতোই। একদিকে জাতীয় স্তরের (National Multiplex) ছবির বাজারে দাঁড়িয়ে ‘বিনোদিনী’ সফলভাবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে, অন্যদিকে নারীকেন্দ্রিক বাংলা ছবির (female-led Bengali cinema) ইতিহাসে এটি এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ কথা অস্বীকার করা যায় না যে, বাংলায় এখনো নারীকেন্দ্রিক ছবির সংখ্যা তুলনায় কম। তবে ব্যতিক্রম কিছু কাজ তো হচ্ছেই। যেমন ‘অর্ধাঙ্গিনী’ (Ardhangini) ছবিটি, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় (Churni Ganguly) ও জয়া আহসান (Jaya Ahsan)। সেই ছবি বক্স অফিসে প্রশংসনীয় ফল করেছিল।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এই সপ্তাহেই মুক্তি পেয়েছে ‘পুরাতন’ (Puraton), যেখানে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন দুই প্রজন্মের তারকা শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore) ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। একইসঙ্গে আগামী সপ্তাহে মুক্তি পেতে চলেছে অনন্যা চট্টোপাধ্যায় (Ananya Chattopadhyay) অভিনীত ‘অন্নপূর্ণা’ (Annapurna), যেটিকেও নারীকেন্দ্রিক সিনেমার তালিকায় রাখা যায়। এই বছর যে ক’টি বাংলা ছবি মুক্তি পেয়েছে, তার মধ্যে নারী চরিত্রকে কেন্দ্র করে তৈরি ছবির মধ্যে ‘বিনোদিনী’-ই (Binodini) আপাতত ব্যবসার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। শুধু ব্যবসা নয়, সমালোচক ও দর্শকের প্রশংসাও কুড়িয়েছে (Rukmini Maitra) এই ছবি। উপরাষ্ট্রপতির প্রশংসা ও স্বীকৃতি প্রমাণ করে, নারীকেন্দ্রিক কনটেন্ট যদি হৃদয় ছুঁয়ে যায়, তবে সেটি কেবল দর্শক নয়, রাষ্ট্রের উচ্চ মহলেও নিজের জায়গা করে নিতে পারে। হয়তো এই পথ ধরেই বাংলা সিনেমায় আরও বেশি ‘বিনোদিনী’ জন্ম নেবে—আরও অনেক নারী গল্প বলবে, নিজের মতো করে।