শ্যামল নন্দী, বারাসাত: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সংশোধিত ওয়াকাফ বিলটি (Waqf Bill) সংসদে পাস করানোর পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটি আইনে পরিণত হয়েছে। নতুন এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। যার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে কেশপুরের (Keshpur) মুগবসানে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এই আইনকে (Waqf Bill) মুসলিম জনগণের মৌলিক অধিকার হরণের পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাদের দাবি, এই আইনটি মুসলিমদের ধর্মীয় স্থান যেমন মসজিদ, ঈদগাহ, মাদ্রাসা ও কবরস্থান পরিচালনার স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে। যা সংবিধান কর্তৃক প্রদত্ত অধিকার ছিল।
আরও পড়ুন: Waqf Bill: “সংসদকে ওয়াকফ হিসেবে দাবি করা হচ্ছিল”, বিস্ফোরক কিরেণ রিজিজু
মুখবাসান গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আজিজুল রহমান এদিন বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) সংখ্যাগরিষ্ঠতা ব্যবহার করে এই বিলটি (Waqf Bill) সংসদে পাস করানো হয়েছে। আর রাতের অন্ধকারে রাষ্ট্রপতির সই নিয়ে এটি আইনে পরিণত হয়েছে। এতে মুসলিম সম্প্রদায়ের জনগণের ক্ষমতা ও অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এটি আমাদের ঐতিহ্যগত অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে। এই আইন পাসের ফলে আমাদের মসজিদ, মাদ্রাসা (Madrasa)ও কবরস্থান পরিচালনায় আমাদের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।”এছাড়াও, তিনি ঘোষণা করেন, “এই আইন প্রত্যাহার না হলে, আমরা আগামী ১০ এপ্রিল কলকাতার (Kolkata) রামলীলা ময়দানে বৃহত্তর আন্দোলন করব। আমরা মুসলিম সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে একত্রিত হয়ে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।” তিনি উদাহরণস্বরূপ বিজয়নগরের কবরস্থান সিল করে দেওয়ার ঘটনাটি তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার ছিল।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
শেখ মোহাম্মদ আজিজুল রহমান আরও বলেন, “এই বিল পাস হওয়ার পর আমাদের ঐতিহ্যগত অধিকারগুলো লঙ্ঘিত হয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার এই কালা আইন প্রত্যাহার করবে, ততদিন আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাবো। মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”এভাবে, নতুন ওয়াকাফ বিলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ তীব্র হয়ে উঠেছে এবং তা একটি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আন্দোলনে পরিণত হতে চলেছে।