Chat GPT-40: ভুয়ো আধার কার্ড নিয়ে ধোঁয়াশা? আসল সত্যিটা এবার জানুন!

প্রযুক্তি বিজ্ঞান

নিউজ পোল ব্যুরো: ছবি পাল্টে হচ্ছে গিবলি, আর ওদিকে? বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে একটি নতুন ট্রেন্ড—গিবলি ফটো (Ghibli Style Image) কনভার্সন। চ্যাটজিপিটি-৪০ (Chat GPT-40)-এর নতুন ফিচার (New Feature) দিয়ে ব্যবহারকারীরা সাদামাটা ছবি অথবা সাধারণ পোর্ট্রেটগুলোকে অসাধারণ জাপানিজ অ্যানিমেশন স্টাইলে (Japanese Animation Style) রূপান্তরিত করছে। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) প্ল্যাটফর্মগুলোতে এক ধরনের ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন: Meta: জুকারবার্গ যা আনলেন, ChatGPT-ও হার মানতে বাধ্য!

বিশেষ করে ওপেনএআই (Open AI) এর নতুন এই ফিচারটি, যা ইতোমধ্যে ৭০ কোটিরও বেশি ছবি পরিবর্তন করেছে। এবং অবিশ্বাস্যভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে ছবি বদলে যে গিবলি স্টাইলের অ্যানিমেশন (Ghibli Style Image) তৈরি হচ্ছে, তা ভাইরাল (Viral) হয়ে গেছে। কিন্তু এই উন্মাদনার সাথে একটি বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, আর তা হলো—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে জাল আধার কার্ড (Aadhaar Card)!

এআইয়ের (AI) সাহায্যে তৈরি এই জাল আধার কার্ডগুলি দেখতে অবিকল একই। যার ফলে সেগুলিকে শনাক্ত করা অনেকটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চ্যাটজিপিটি ৪০ (Chat GPT-40) এর মাধ্যমে এমন নথি তৈরির প্রক্রিয়া এতটাই নিখুঁত যে, এটি প্রায় কোনও সন্দেহ ছাড়াই ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে (Chat GPT-40) করে ফেক আইডি তৈরি হয়ে যাচ্ছে এবং তা জাতীয় নিরাপত্তা ও মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এখানে প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে বুঝব আসল এবং নকল আধার কার্ডের মধ্যে পার্থক্য? প্রথমত, জাল আধার কার্ডের (Aadhaar Card) টেক্সট স্টাইল এবং কোলন, কমা স্থাপনের মধ্যে ফারাক স্পষ্ট। আরেকটি বড় পার্থক্য হলো—ফন্টের ডিজাইন, যেখানে এআইয়ের (AI) তৈরি ফন্টের সঙ্গে আসল আধারের ফন্টের (Font) মধ্যে বিস্তর তফাৎ রয়েছে। এছাড়া, আধারের জাতীয় প্রতীক এবং লোগোগুলিও ভিন্নভাবে দেখা যায়, যা প্রমাণ করে এটি একটি কৃত্রিম তৈরি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো—জাল আধার কার্ডের কিউআর (QR Code) কোড স্ক্যান করা সম্ভব নয়, যেখানে আসল আধার কার্ড স্ক্যান করলে UIDAI ওয়েবসাইটে চলে যায় এবং সব তথ্য পাওয়া যায়।

এই প্রযুক্তি শুধু ছবি বা আইডি সংক্রান্ত নয়, বরং আমাদের নিরাপত্তা এবং তথ্যের সুরক্ষার জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।